পাতা:চুড়ালা উপাখ্যান.pdf/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চুড়াল উপাখ্যান। t( আমি সেইমত তোমার ইচ্ছার অনুগামী হইয়া তোমার ইষ্ট সাধন করিব। . চূড়াল কহিলেন, প্ৰাণেশ্বর ! যদি তোমার এইরূপ অভিপ্রায় হইয়া থাকে, তাহা হইলে আমার ইচ্ছ। এই যে, আমরা যখন সৰ্ব্বপ্রকারে বিষয়ের আস্থা পরিত্যাগ দ্বার নিত্য পরমানন্দ স্থথে অবস্থিত হইয়াছি, তখন সম্পতি জীবন্মুক্তরূপে সৰ্ব্বত্র সমান চিত্তের দ্বারা সমান রুচিযুক্ত হইয়া কিয়দিন প্রাকৃত লোকের ন্যায়ু ব্যবহার কম্মে প্রবৃত্ত হইয় রাজত্ব পালন দ্বারা কিছুকাল যাপন করিয়া পরে বিদেহু মুক্তি প্রাপ্ত হইব । রাজা কহিলেন, প্রিয়ে! তুমি বুদ্ধিক্রমে অতি উপযুক্ত বাক্য কহিয়াছ। যেহেতু রাজ্যের ত্যাগ, কিম্বা গ্রহণে, হানি বা লাভ কি আছে। উভয়ই সমান। চিন্তা ও স্থখ দুঃখাদি অবস্থা ত্যাগ করিয়া দ্বেষাদি শূন্য হইয়া আমরা যথাস্থানে সমভাবে স্বভাবে স্থিত হইব।. অতএব তুমি স্বসঙ্কল্প বলেতে এই স্থানে সৈন্য আনয়ন কর । আমরা তদ্বারা পরিবেষ্টিত হইয়া যথানিয়মে স্বরাজ্যে গমন করিব । ass=yx hsummam চূড়ালার নিজরূপ ধারণ। ধন্য সে চুড়ালা সতী, উদ্ধারিয়া প্রাণপতি, স্বীয় স্বীপ করিলা সাধন ।