পাতা:চূর্ণ প্রতিমা - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
চূর্ণ প্রতিমা।
২৩

 ন। যথেষ্ট। এত বেশী যে, আমি গড়িয়া দোকানে রাখিবার সুযোগ পাইতেছি না। গঠনের আগেই লোকে মূল্য দিয়া যান। পুতুল প্রস্তত হইলে আমি পাঠাইয়া দিয়া থাকি।

 আ। তবে কি ঐ সমস্ত পুতুলেরই মূল্য পাইয়াছ?

 ন। উহাদের মধ্যে পাঁচ জোড়ার ফরমাইস্‌ দেওয়া আছে।

 আ। এক জোড়া বেশী গড়িলে কেন?

 ন। ছয় জোড়া করিয়া গড়িলে পরিশ্রমের কিছু লাঘব হয়। আর দোকানে রাখিতে না রাখিতে উহাও বিক্রয় হইয়া যাইবে।

 আ। ও জোড়াটা আমিই লইব। এখন আমায় কত দিতে হইবে বলিয়া দাও।

 ন। আপনার বিবেচনায় যাহা হয় তাহাই দিবেন। আপনি এখন আমার সকল কথাই শুনিয়াছেন; আপনার যাহাতে ভাল হয় তাহাই করুন।

 আ। যে পাঁচ জোড়া ফরমাইস মত গড়িয়াছ, সেগুলির কত করিয়া মূল্য লইয়াছ?

 নফর হাসিতে হাসিতে বলিল, “প্রতি জোড়া পাঁচ টাকা। আগে আমি জানিতাম না যে, জহর পাগল হইয়া যাইবে।”

 আ। যখন তুমি ঐ রকম পুতুল গড়িতে পার, তখন তোমার মূলা বৃদ্ধি করিবার কোন কারণ দেখিতেছি না।

 ন। প্রায় পাঁচ বৎসর হইল, জহর ঐ কার্য্য করিতেছে। যে অবধি জহর ঐ কাজ ভাল রকম করিতে শিখিয়াছে, সেই অবধি আমি আর পুতুল গড়ি না। যতই ভাল কারিগর হউক না কেন, পাঁচ বৎসর অভ্যাস না থাকিলে কোন কার্য্যই মনোমত হয় না। আমারও সেই দশা। আমি এখন সাহস