বৃদ্ধ, এতগুলি পাহারওয়ালা ও আমাদের দুইজনকে দেখিয়া, ভয়ে কাঁপিতে লাগিল; বলিল, “আজ্ঞে, আমারই এ বাড়ী।”
আমি বলিলাম, “ম্যাজিষ্ট্রেটের হুকুম মত আমি এই বাড়ী তল্লাস করিতে আসিয়াছি।”
বৃদ্ধ আমার কথায় চমকিত হইল; বলিল,”এই বাড়ী কি? আপনাদের ভুল হয় নাই ত?”
আমি হাসিতে হাসিতে উত্তর করিলাম, “বাপু, আমরা পুলিসের লোক। আমাদের এত ভুল হয় না।”
বৃ। আমাদের বাড়ীতে কি হইয়াছে? কোন্ অপরাধে আপনি আমার বাড়ী তল্লাস করিতে আসিয়াছেন?
আ। সে কথা কি জান না? মিছামিছি কথা বাড়াও কেন?
বৃ। দোহাই ধর্ম্মাবতার, আমি কিছুই জানি না। আমায় যে শপথ করিতে বলিবেন, আমি সেই শপথ করিয়া বলিতে পারি যে, আমি সত্য সত্যই কিছু জানি না।
আ। জহর ব’লে কোন লোক এখানে থাকে?
বৃ। আজ্ঞে হাঁ, থাকে। জহর আমারই বড় ছেলে।
আ। সে একখানা হীরা চুরি করিয়া আনিয়াছে।
বৃদ্ধ গম্ভীরভাবে বলিল, “একথা আমি বিশ্বাস করিতে পারি না। জহর আমার আজ চারিদিন হইল, পাগল হইয়া গিয়াছে। সে এই চারি দিন বাড়ী হইতে বাহির হয় নাই।”
আমি অতি কর্কশভাবে বলিলাম, “তোমার ছেলে যদি এতই সাধু হয়, তবে সেদিন হাজতে গিয়াছিল কেন?”
বৃদ্ধ উত্তর করিল, “সন্দেহ করিয়া তাহাকে হাজতে পাঠান