বাড়ীতে যাইলাম। তখন সন্ধ্যা উত্তীর্ণ হইয়া গিয়াছে। ঘরে ঘরে আলো জ্বালা হইয়াছে। বাড়ীর ছোট ছোট ছেলেরা চীৎকার করিয়া পাঠাভ্যাম করিতেছে। বাবুরা বাহিরে বসিয়া সান্ধাসমীরণ সেবা করিতেছেন। এমন সময়ে আমি সেখানে উপস্থিত হইলাম।
হরিশবাবু সেখানে ছিলেন। আমাকে দেখিয়া অতি সমাদরে অভ্যর্থনা করিয়া নিকটে বসিতে বলিলেন। আমি তাঁহার অনুরোধ রক্ষা করিয়া কিছুক্ষণ বিশ্রামের পর জিজ্ঞাসা করিলাম, “হরিশবাবু, কেমন আছেন? আনেক দিন আপনার সহিত সাক্ষাৎ হয় নাই।”
হরিশবাবু সহাস্যবদনে বলিলেন, “না, অনেকদিন আপনাকে দেখিতে পাই নাই। কোথাও গিয়াছিলেন নাকি?”
আমি উত্তর করিলাম, “না। চাকরে কি ইচ্ছামত কাজ করিতে পারে?”
হ। এখন এদিকে কোথায় গিয়াছিলেন?
আ। আপনারই নিকট আসিয়াছি।
হ। আমার পরম সৌভাগ্য। এখন কি করিতে হইবে বলুন?
আ। আপনি কি নফরের দোকান হইতে একখানি কালী গ্রতিমা কিনিয়াছেন?
হ। হাঁ, কিনিয়াছি। কিন্ত আপনি সে কথা জানিতে পারিলেন কিরূপে?
আ। নফরের মুখে শুনিয়াছি। প্রতিমাখানি খুব যত্নে রাখিবেন।