পাতা:চেনা দায় - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৮
দারােগার দপ্তর, ৮৪ম সংখ্যা।

অভাব, অধিক টাকা সংগ্রহ করিবার ক্ষমতা তাঁহাদিগের নাই। সুতরাং কেবল বিশ্বাসী লোক পাইলেও তাহাতে আমাদিগের কিছুমাত্র উপকার হয় না। যে ব্যক্তির পয়সা আছে, অথচ বিশ্বাসী, এরূপ কয়জন লোক কয়জনের পরিচিত আছে? এইরূপ নানাকারণে এ কার্য্যে সবিশেষ লাভের সম্ভাবনা থাকিলেও, উপযুক্তরূপ লোক পাওয়া যায় না বলিয়াই, চোরা-দ্রব্য সকল এত অল্প মূল্যে বিক্রীত হইয়া থাকে। কেন, আপনি কি অবগত নহেন যে, এক একজন এইরূপে চোরা-দ্রব্য ক্রয় করিয়া পূর্ব্বে কিরূপ বড়লোক হইয়া পড়িয়াছেন, এবং তাঁহাদিগের পুত্ত্র পৌত্ত্রগণ এখনও জমিদার নামে অভিহিত? আমি যে সকল জমিদারের কথা বলিতেছি, তাঁহাদিগের পূর্ব্ব-পুরুষগণের মধ্যে অনেকেই যে কেবল চোরা-দ্রব্য আহরণ করিয়াই বড়লোক হইয়াছিলেন, তাহা নহে। তাঁহাদিগের মধ্যে অনেকে চোর প্রতিপালিত করিয়া, অপরের গৃহে চুরি পর্য্যন্ত করাইয়া সেই সকল দ্রব্য গ্রহণ করিতেন। তাহাতেই তাঁহারা বড়লোক হইয়াছিলেন।

 আমি। তাঁহার নিকট কতগুলি সুবর্ণের অলঙ্কার আছে?

 বছিরুদ্দিন। অনেক টাকার অলঙ্কার আছে। আমার বোধ হয়, বিশ হাজার টাকা মূল্যের কম হইবে না। দেখুন না কেন, এই তালিকাতেই ত সমস্ত অলঙ্কারের মূল্য লেখা আছে। আমি হিসাব করিয়া দেখিয়াছি, তালিকায় যে মূল্য লেখা আছে, তাহাতে জানা যায়, সেই সকল অলঙ্কারের মূল্য পঁচিশ হাজার টাকা। কিন্তু আমরা উহা ধরিব কেন, উহার “পান” মজুরি প্রভৃতি মোটামুটি বাদ দিয়া, আমি বিশ হাজার টাকা মূল্য ধরিয়া লইতেছি।