পাতা:চেরী - সুনীতকুমার মুখোপাধ্যায়.pdf/১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাল-দড়ি ফেলে হঠাৎ একদিন যুদ্ধে চলে যায় । আর সে ফিরতে পারল না । এমনি করে তার সীমাহীন অপেক্ষ ধৈর্য হারিয়ে বিষগ্ন আর বিয়োগাত্ত হয়ে গেল । ফুজিয়ামা পাহাড়ের নিচেই থাকত তরুণীটি । জানালা দিয়ে ফুজিকে দেখত আর র্কাদত । চেরী ফুটলে, মনটা উদাম হয়ে ঘর থেকে ছুটে বেরিয়ে যেত । চেরী কেউ উপহার দিলে সারা রাত তাকে বুকের ওপর রেখে তুর্নিবার তুঃখ থেকে অপরিসীম সাত্বনা লাভের চেষ্টা করত । বসন্তে ফুজির মাথায় বরফ গলত । সে কাদত আবার । ফুজির মাথায় বরফ যেমন করে গলে, ঠিক তেমনি করে তার অবরুদ্ধ বেদনা ঝরছেন কেন ? অবসন্ন মন একদিন তাকে এইভাবে দেশভ্রমণের নেশা ধরালো । আবুল কাশেম এই পর্যন্তই বলেছিল । তারপর আমাদের ট্রেন এল এখন জাপানে বসন্তের সমাগম । বসন্তের অধরোষ্ঠ রাঙিয়েছে চেরী । ফুজির স্তম্ভিত তুষার নিঝরে পথ পেয়েছে । কত নর-নারী এখন মুখোজিমা এ্যাভিমুর পথে । অন্তরে চেরীফুল দেখার অভিলাষকে নিয়ে আজ তারা সবাই বসন্তের দ্বারদেশে ।