\O8 মৃত্যু তাজমহল নয় সেদিন শ্রাবণ মাস বৃষ্টির ধ্বস নেমেছিল । রাত অনেক । অনিদ্রার একটা করুণ চিৎকার ! * বস্তীট ঘুটফুটে অন্ধকার। ভিজে কাদার ওপর কুকুরের চলা, বঁাশ গাছের মাথার ওপর বাতাসের দীর্ঘনিঃশ্বাস রক্তমাংসের মানুষ যেন । মাতাল মদের ঝোকে কুকুরের পেট মাড়ায় জন্তুটা যন্ত্রণায় ছটফট করে । রাস্তায় আবার কাদার দাগ হয়। যদু কলোনির সেই দোহারা গড়নের নোতুন বউটী শ্বাস টানে। মজবুত স্বাস্থ্য নিয়ে এতদিন বেঁচেছিল । স্বামী তার রঙের মিস্ত্রী । মৃত্যুট সিংহের থাবা, রক্তমাংস সব কিছু খাবে। জিহবা থেকে লাল ঝরে । বুক ফাট চিৎকার! বাইরের ঝড়ের দাপট । সমুদ্রে পাড়ি দিতে গিয়ে নোঁকোর পাল ছিড়ে গেল । গাছে গাছে বাদুড়-অন্ধকার । বস্তীর অন্ধকারে যন্ত্রণা পাশ ফিরে কাদে । মিস্ত্রী-বউ মারা যায় । বলাই মিস্ত্রীর মেয়েটা র্কাদছে। রঙের বালতিটা মাটির ওপর চাপ হয়ে বসা । রঙ প্রস্তুতির আর কত বাকি ? মৃত্যুট তাজমহল হোল না । আজ ভোর থেকে ভারা বাধা হল । বলাই মিস্ত্রী ভারা বেয়ে উঠে নিঃশ্বাস নেয় । ঘোষেদের সাতমহলা বাড়িটার জানালা দরজায় আজ থেকে কলি দিতে হবে ।
পাতা:চেরী - সুনীতকুমার মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৯
অবয়ব