পাতা:ছন্দপতন - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছন্দপতন৷ সভায়, আবেগের যতখানি ঐক্য ও সমতা স্বভাবতই আছে তাদের মধ্যে অতি সহজে সেখানটা স্পর্শ করে সকলকে বিচলিত করে দিয়েছি। নাড়া দিয়েছি। ! কিন্তু কেন ও কিসের এই আবেগ ব্যাকুলত, একজনের কাছেও তা ধরা পড়ে নি। গানের কথার মানে না নিয়েও সুর। যেমন নাড়া দিতে পারে মানুষকে, ভাবার্থের স্পষ্টতা ও পূর্ণতা ছাড়াও আমার কবিতা তেমনি সকলকে একসঙ্গে অভিভূত করেছে। শুধু সুর নাড়া দেয়, তার মানে আছে। সেঁ মানে হলো ঐতিহ্য। আগে থেকেই অনুভূতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার বঁাধন থাকে সুরের, নইলে তার সাধ্য কি মর্মস্পর্শ করে। আমি কোন ঐতিহ্যের জের টেনেছি। আমার কবিতায় ? ভাবার্থের সমগ্ৰতা ছাড়াই যাতে এমন গভীর সাড়া জাগানো সম্ভব হয়েছে ? কে আমার এ প্রশ্নের জবাব দেবে।

আজ তোমার প্রশ্নের জবাব দেব। আমরা একটু

আগেই বেরিয়ে পড়ি চলো । প্ৰায় চমকে উঠেছিলাম মানসীর কথা শুনে ! আমার মনের কাব্যাত্মিক সমস্যা টের পেয়ে প্রশ্নের জবাব দেবে বলছে N মনে করেছিলাম। আমার কবিতার কি হয়েছে ভাবতে Σ. Σ Θ