পাতা:ছন্দপতন - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছন্দপতন স্তর পার হয়ে এগোতে হয়। আমি যে নতুন কবিতাটা লিখেছি, কয়েকটা স্তর পার হয়ে না এলে কিছুতেই এটা লিখতে পারতাম না । তমাল বলে, আপনি কবিতা লেখেন ? রমা বলে, নতুন কবিতা ? শুনেছি ? : না । শুনতে চাইলে শোনাতে পারি। সঙ্গেই マTt立要 তমাল চুপ করে থাকে। রমা সাগ্রহে বলে, শুনি না, ९७न्मि । কবিতা শুনতে, বিশেষতঃ অজানা তরুণ কবির কবিতা শুনতে, তামালের আগ্রহের অভাব আমাকে বিস্মিতও করে। না, আহতও করে না । আগ্রহের অভাবটাই তার পক্ষে সঙ্গত এবং স্বাভাবিক। তবে কবিতাটি সে শোনে। মন দিয়েই শোনে । শুনতে শুনতে তার মুখের যে ভাব হয় আমায় তা হতাশ করে দেয়। প্ৰতিভা সম্পর্কে আমার কথাগুলি বুঝতে না পেরে যেভাবে সে তাকিয়ে ছিল, কবিতা শুনতে শুনতেও প্ৰায় অবিকল সেই ভাবেই তাকিয়ে থাকে । এবার কেবল বুঝবার জন্য আরও বেশী মন দিয়ে শুনবার চেষ্টায় বাড়তি একটা ব্যাকুলতার ছাপা পড়ে তার মুখে । নীরবে আমার কবিতার বিচার করে মুখের ভঙ্গিতেই সে -झ ८ि८छ् ! እ 8 ዓ