পাতা:ছন্দপতন - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

豆而外可可 লক্ষ্মীর চোখ দুটি সজল হয়ে ওঠে। ; আদর ছাড়াই আদরের ছাত্রী ! লক্ষ্মী আজ আমায় বিব্রত করে, কিশোরী ছাত্রীটির কাছে অস্বস্তি বোধ করি। কোথায় যে ত্রুটি ঘটেছে আমার ঠিক বুঝে উঠতে পারি না, কিন্তু একথাও ভাবতে হয় যে আঘাত না পেলে সরল তাজা মনটা তার ব্যথাই বা পাবে কেন ? আমি কী প্ৰত্যাশা জাগিয়েছি তার মধ্যে, যা আমি পূরণ করি নি ? কোন পাওনা থেকে তাকে বঞ্চিত করে, তার কোন সঙ্গত দাবী ফাকি দিয়ে আমি নিষ্ঠুর হয়েছি ? কোনরকমে পড়ানো শেষ করে পথে নেমে যাই । কলোনির সামনে রাস্তার কালে তখনও কয়েকজন জলাহী ও জলাৰ্থিনী অপেক্ষা করছিল। তাদের পাশ কাটিয়ে কলোনিতে ঢুকে পড়ি। তমালের সঙ্গে কথা বলব। তামালের বিচার জেনেছি, আমার কবিতা তাকে নাড়া দিতে পারে নি। আরেকবার বিচার করে সে তার রায় পাল্টে দিতে পারে, এ আশা রাখি না। তামালের সঙ্গে কথা বলতে চাওয়ার উদ্দেশ্যও তা নয়। তার মনের ভাবটা আরেকটু খুটিয়ে জানতে চাই। সতীশদের ঘর জানতাম। তমালদের কুটিরখানা ঠিক তারই সামনাসামনি । У Ф. о