পাতা:ছন্দপতন - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছন্দপতন বৌদি বলতেন, বেচারা সাতটা থেকে তোমার জন্য বসে আছে ঠাকুরপো । পড়ার ঘরে এসে মানসী বলত : একটা কথা বলতে এসেছিলাম। ভেবে দেখলাম, থাকগে, দরকার নেই । ; এতক্ষণ বসে আছ, বলেই ফেল না কথাটা । ; বলে আর কি হবে ? যাব না ঠিক করেছি ।

কোথায় যাবে না ? : বাবা মা কাল পাটনা যাবেন। ওই সঙ্গে একটু বেড়িয়ে আসতে যাব ভেবে বলতে এসেছিলাম, তুমিও যদি যেতে পার। তারপর ভেবে দেখলাম, পাটনায় আবার কি বেড়াতে যাব ! পরে অন্য কোথাও যাওয়া যাবে।

এই অনিশ্চয়তা, ক্ষণে ক্ষণে মনের এই দিক পরিবর্তন, এটা অবশ্য আমার সঙ্গে পরিচয় হবার আগে এতটা স্পষ্ট ছিল না । আমার সঙ্গে মেলামেশা ঘনিষ্ঠতার পরেই তার এই অস্থিরতা বেড়েছে। আমি যদি ভাবুক কবি হতাম। তাহলে পরমানন্দে এর মধ্যে আবিষ্কার করতাম প্ৰেম ! বুঝে নিতাম, আমায় ভালবেসে ফেলার জন্যই মানসীর এই ছটফটানি । ভালবাসা যেন মেয়েদের চঞ্চল অস্থিরচিত্ত করে দেয় ! প্রেমের গুরুভার হৃদয়ে চাপলে বরং চপলমতি দিশেহারা মেয়ে শান্ত হয়, দিশে ফিরে পায় । শুধু মানসীর অস্থিরতা কেন, সব কিছুরই মনের মত V(