পাতা:ছন্দপতন - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছন্দপতন সেকেলে একেলে এদেশী সেদেশী অনেক কিছু মিলে উদ্ভট খিচুড়ি বনেছে- কিন্তু সমাজ পচে নি। তুমি আপশোষ করছ, ব্যাপারটা আপশোষ করার মতই। কিন্তু অত হতাশ হবার কিছু নেই। বাস্তব অবস্থা যেমন তারই সঙ্গে খাপ খাইয়ে ছেলেমেয়েদের মেলামেশার রীতিনীতি রকমফের হয়েছে- দু’চারজনের রুচি আর পছন্দ নিয়ে তো এসব গড়ে ওঠে না । সঁওতালদের সমাজে মেলামেশা একরকম, তোমার আমার সমাজে আরেকরকম। ভাল হোক মন্দ হোক, তোমার আমার পছন্দ হোক বা না তোক- সবাই আমরা যে অবস্থায় আছি তাতে যেরকম হওয়া দরকার ছিল তাই হয়েছে । মানসী চুপ করে মন দিয়ে কথাগুলি শুনেছিল। গুরুজন নই, অধ্যাপক পণ্ডিত নই, প্ৰায় সমবয়সী একজন কবি । তার এই সহজ শ্রেদ্ধার দাম যে কতখানি ছিল তখন ভাল বুঝি নি। অনায়াসে নিজের প্রাপ্য বলে গ্ৰহণ করেছি । যে ভাবে লিখলাম। এরকম ছাকা ভাবে অবশ্য কথাগুলি মানসীকে বলি নি । সাধারণ চলতি আলাপের কথায় ছেড়ে ছেড়ে কেটে কেটে অনেকক্ষণ ধরে বলেছি।

প্ৰাণ খুলে অবাধে মিশতে চাও ? চাও যে কেউ ভুল

বুঝবে না ? দেশটা পরাধীন— সেই পরাধীন দেশে তুমি পরাধীন মেয়ে ! কত শিক্ষা পেয়েছ তোমরা ? কত সংস্কার OSI