পাতা:ছন্দপতন - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

瓦而外可x আমিও হেসে বলি, ভাত-কাপড়ের কবিতা লিখে কবি কি পপুলার হয় ? ভাতকাপড় যারা চায় তাদের প্রাণের কবিতা লিখতে হয় । মানসী বলে, এই রে, লাগলো বুঝি দুই কবিতে ! মানসীর কথায় সুময়ের মুখে একটু হাসিই ফোটে। মানসীর বাড়ীতে একদিন আমার একটি সরল প্রশ্নে তার মুখ লাল হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সে ছিল আলাদা কথা । আমি মস্ত বিজ্ঞের মতো জানতে চেয়েছিলাম, আবৃত্তি করার যোগ্য কবিতা তার লেখা আছে কিনা ৷ পাচজনের সামনে- বিশেষ করে মানসীর সামনে- এরকম প্রশ্নে একজন নামকরা কবির অপমান বোধ হওয়া আশ্চর্য কি ? কিন্তু আজ মানসী তামাসা করেছে আমাকেও একজন কবি করে দিয়ে- তার সমান পৰ্যায়ে তুলে ! লাগলো বুঝি দুই কবিতে- দুই কবি । অর্থাৎ কবি আমরা দু’জনেই । কোথায় সুময় আর কোথায় নব- একজনের নাম শিক্ষিত মানুষ সবাই জানে, সাময়িক পত্রে নিয়মমতে কবিতা বেরোয় এবং যথানিয়মে ইতিমধ্যেই তার দু’খানা কাব্যসংকলন প্ৰকাশিত হয়েছে- আরেকজন জনসভায় বক্তার মতো আবৃত্তি দিয়ে আসার মাতিয়ে কবি হতে চায় এবং সে ছেলেমানুষ কলেজের ছাত্র মাত্ৰ ! এটা হাস্যকর উপমা ! সুময় তাই সদয় ভাবেই হাসে। কবি বলে মানসী। ?)و