পাতা:ছন্দপতন - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছন্দপতন মানুষ পারে না ? আসলে স্বাভাবিকভাবে যে যা নয়। সে ইচ্ছাশক্তি আর অধ্যবসায় দিয়ে খানিকটা তাই হতে পারে বৈকি ! ইচ্ছা আর চেষ্টায় সবই খানিকটা সম্ভব হয় । খাদ্যে অরুচি জন্মে। কাজে আলস্য আসে। রাত্রে ঘুম আসে না । কত যে অপরাধ করেছি। এই সদ্য সাবালকত্ব পাওয়া • জীবনে তার যেন হিসাব হয় না। এমনিভাবে দিবারাত্ৰি ছটফট করি। কারো কাছে কিছু বলারও নেই। করার ও নেই । বৌদি চমকে গেছেন টের পাচ্ছিলাম। একদিন রাত প্ৰায় এগারোটার সময় দেহের বিদ্রোহ। আর অস্থিরতা অসহ্য মনে হওয়ায় ভাবলাম, আর কেন, এবার আত্মসমৰ্পন করা যাক। পুটুলি খুজে পেতে একটা দশটাকার নোট আর ধাতুর টাকা পেলাম সাতটা । এতে কি হবে ? বস্তিতে দেশী কোন নেশায় আত্মহারা হয়ে রাতটা কাটানো যাবে ? Γ কবির আত্মসমৰ্পণ মানেই সাময়িক ভাবে সংঘাত এড়িয়ে যাবার জন্য সাময়িক পরাজয় মানা । জীবন সংঘাতময়, মহান সৃষ্টির প্রেরণার সঙ্গে অনেক বিরোধী ভাবের সংঘাত কবিত্ব লাভেরই একটা অনিবাৰ্য প্রক্রিয়া । এ সমস্তই আমি জানি । অসামঞ্জস্যকে আয়ত্ত করে এই প্ৰক্ৰিয়া থেকেই বেরিয়ে আসবে নতুন সৃষ্টি। কিন্তু সহ যে হয় না ? র্যাত কলে ক্ৰমাগত পিষে যাওয়ার মতো, বোমাটির বিদীর্ণ হবার মুহূর্ত ዓቅ..