পাতা:ছন্দপতন - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছন্দপতন কত সেবাই যে তোমার চাই ! একরাত্রে জগৎ যেন আমার ওলটপালোট হয়ে গিয়েছে। চা খেতে খেতে হেসে বললাম, নাই বা বাচাতে আমাকে !

তাই নাকি ! তোমার তাই মনে হবে। কিন্তু এটুকু না করলে সংসারে আছি কেন ? গা বাঁচিয়ে পেট পুরে খেয়ে শাড়ীগয়না পরতে ? বড় বড় কথা জানি নে ঠাকুরপো, আমাদের অনেক দোষ, অনেক সঙ্কীর্ণতা । কিন্তু সংসারটি ছাড়া আমাদের কি আছে বলে ? চারদিক বঁচিয়ে চলতে হয়। স্নেহ মায়ার কারবার করে বসেছি, উপায় কি ! নিজের দোষে তুমি রোগ করেছ, কিন্তু তোমায় ধ্বংস হতে দিলে আমিই জ্বলে পুড়ে মারতাম না ?

বৌদির চোখে জল দেখে কি বলব ভেবে পাই না । বৌদি চোখ মুছে নিজেই আবার বলে, তুমি ব্যাটাছেলে, তেজী ছেলে, নিজের পথ তুমি খুজে নেবেই। কিন্তু এই বয়সটা বড় বিশ্ৰী। সাদামাটা সোজা কথা খেয়াল থাকে না । একদিকে ঝোক গেলে সামলাতে পারে না । মানুষ শরীর সর্বস্ব নয়, কিন্তু শরীরটা ডিঙ্গিয়ে গিয়েও কিছুই ३ व् । আমি আশ্চর্য হয়ে বৌদির কথা শুনি। : দশ এগার বছর থেকে আমাদের এসব শিখতে হয় । ঠাকুরপো । তুমি খুব সংযমী ছেলে — ; মানসীর সঙ্গে এত মিলেও ? ዓ ዓ