কম। প্রায় ডাঙ্গা ঘেঁসে চলেছি। এ পারে ঘুম্নগরের বাথান্—ওপারে বনে ঢাকা মাসী-পিসীর দেশ। শোনা যায় নিশুত্ রাতে বন্গাঁবাসী মাসী-পিসী উড়্কী ধানের মুড়্কী আর আমন-চিঁড়ের মোআ ছেলেদের বিলোতে বসেন! ছেলেরা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে তাই খায় আর হাসে—যেমন হাসে বুড়ীমায়ের আদর পেয়ে ভরা পূর্ণিমার চাঁদ্টা!
এক ঝাঁক বাদুড় এক ডাল থেকে আর এক ডালে বসে। এখানে আদুরে ছেলেদের ভাগ্যে আর পেয়ারা খাওয়া ঘটে না. বোধহয়, কারণ ছোটবেলায় ঠান্দির মুখে শুনেছি, “আদুরের পেয়ারাটি বাদুড়ে খায়।”—তা কি আর মিথ্যা হবার জো আছে, বাপ্ রে!
জিওল গাছটার ফাঁকে দেখা যায় এঁকা বেঁকা ছোট রাস্তাটি ঘুরে ঘুরে দূরে চলে গেছে, গ্রাম পেরিয়ে, মাঠ পেরিয়ে, হাট ছাড়িয়ে অজান্তি পুরের দিকে। পথিক চল্তে গিয়ে খানিক বিশ্রাম করে’ নেয় গাছটার নীচে, পোঁট্লা খুলে চিঁড়ে গুড় খেয়ে চিৎপাৎ হয়ে শুয়ে পড়ে সবুজ মখ্মলের মত ঘাসের উপর। মনে পড়ে তার ঘরের কথা। গাঁয়ের ছেলেমেয়েকে