উপরে আছে দশ অক্ষর, নীচে আছে নয় অক্ষর। কিন্তু ছন্দ পতন হয় নি। “ভুট্টা” কথাটা হচ্ছে “ভুট্-টা”।
অক্ষর নিয়ে সব সময় মারামারি কর্লে চলে না। বড় বড় নাম-জাদা কবিদের এমন লেখা তোমরা আজকাল ঢের পাবে যার প্রথম লাইনে হয়তো দুই অক্ষর, তার নীচেই হয়তো বত্রিশ অক্ষর, আবার তার নীচে দশ অক্ষর—এই রকম স্বেচ্ছাচারিতা অথচ ছন্দ-পতন হয় নি। কারণ ওগুলি “অ-সম” ছন্দ। এরকম ছন্দের নমুনা তোমরা আজকালকার কাগজে ঢের পাবে, তাই আর তার নমুনা এখানে দিলাম না!
অনেক বিদেশী ছন্দ আজকাল বাংলা-সাহিত্যকে সম্পদশালী করছে। এই সব ছন্দকে নিজের করে’ নেওয়ায় এক দিকে যেমন আনন্দ আর অন্যদিকে তেমনি গৌরব। অবশ্য এই নিজের করে’ নেওয়াটাতে খুব বড় ওস্তাদের হাত দরকার। খুব পাকা ওস্তাদের হাতেই বিদেশী ময়ূর নাচ্তে পারে, বিদেশী বুলবুল্ গান গাইতে পারে।
বিদেশী ছন্দের উদাহরণ কয়েকটা আমি আগেই দিয়েছি;