পাতা:ছন্দ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৪০
ছন্দ
৪০

৪০ ছন্দ

ছয় বা বারো করলেও তার চাপলা ঘোচে না। ছুই মানার চলন ক্ষিপ্র» তিন মাস্ত্রার চঞ্চল, চাঁর মাত্রার মন্থর, আট মাত্রার গম্ভীর । তিন মাত্রার ছন্দে যে পয়ারের মতো ফাক নেই তা যুক্তাক্ষর জুড়তে গেলেই ধর পড়বে । যথা-- ূ গিরির গুহায় ঝরিছে নিঝর এই পদ্দটিকে যদ্দি লেখা যায় পর্বতকন্দরে ঝরিছে নিঝ'র তাহলে ছন্দের পক্ষে সাংঘাতিক হয়। অথচ পয়ারে গ্িরিগুহাতল বেয়ে ঝরিছে নিঝর এবং পর্বতকন্দরতলে ঝরিছে নিঝ'র ছন্দের পক্ষে ছুই সমান। বিষমমাত্রার ছন্দের শ্বভাব হচ্ছে তার প্রত্যেক পদে এক অংশে গতি, আর এক অংশে বাধা । এই গতি এবং বাধার সম্মিলনে তার নৃত্য । অহ্হ কল য়ীমি বল- গীদিমণি- ভূষণং হরিবিরহ- দহনবহ- নেন বহ- দূষণং।

তিন মাত্রার 'অহহ' যে ছাদে চলবার জন্যে বেগ সঞ্চয় করলে, ছুই মাত্রার “কল' তাকে হঠাৎ টেনে থামিয়ে দিলে, আবার পরক্ষণেই তিন যেই নিজমৃত্ি ধরলে অমনি. আবার ছুই এসে তার লাগামে টান দিলে । এই বাধা যদি সত্যকার .বাধা হত, তাহলে ছন্দই হত না; এ কেবল বাধার,ছল, এতে গতিকে আরো! উসকিয়ে দেয় এবং বিচিন্ত করে তোলে। এইজন্ে অন্য ছন্দের চেয়ে বিষমমাত্রার ছন্দে গতিকে আরো যেন বেশি অনুভব করা যায়।