পাতা:ছন্দ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৪৮
ছন্দ
৪৮

৪৮ ছন্দ

আমি নই। আমি ছন্দের দ্রিক দিয়ে বলছি এর প্রত্যেক পদভাগে একটি দীর্ঘ ও ছুইটি হ্ন্থ মাত্রা, সেই দীর্ঘনৃম্বের ওঠাপড়ার পর্ধায়ই হচ্ছে এই ছন্দের প্ররকতি। বাংলায় স্বরের দীর্ঘহস্বতা নাই কিংবা নাই বললেই হয়, এবং যুক্তব্যঞ্নকে সাধু বাংলা কোনো! গৌরব দেয় না, অযুক্তের সঙ্গে একই বাটখারায় তার ওজন চলে। অতএব মাত্রাসংখ্যা মিলিয়ে এ লোহার স্তব যদ্দি বাংল! ছন্দে লেখা যায় তাহলে তার দশা হয় এই।

দেখ দেখ মনোহর লোহার গ ডিতে চড়ি লোহাপথে কত শত মানুষ চ- লিছে, দেখিতে দে- থিতে তাঁরা যোজন যো জন পথ অনায়াসে তরে যায় টিকিট কি- নিয়া। যেসব মা- নুষ আছে অনেক দূ- রের দেশে, লোহা। দিয়ে গড়া তীর রয়েছে ব- লিয়া, হদূর ব- ধুর সাথে কতঘেম- নের নখে " কথা চালা চীলি করে নিমেষে নি- মেষে। ংলায় আর সবই রইল-- মাত্রাও রইল, আর সম্ভবত আধ্যাত্মিকতারও হানি হয়নি, কেননা ভক্তির টিকিট থাকলে লোহার গাড়ি যে কঠিন লোহার পথও তরিয়ে দেয় এবং বধুর সঙ্গে যতই দূরত্ থাক স্বয়ং লোহার তারে তাদের কথা চালাচালি হতে পারে এ ভাবটা বাংলাতেও প্রকাশ পাচ্ছে-- কিন্তু মূল ছন্দের প্রতিটা বাংলায় রক্ষা পায়নি। এ কেমন, যেমন ঢেউখেলানো৷ দেশের জমির পরিমাণ সমতল দেশে জরিপের দ্বারা মিলিয়ে নেওয়া । তাতে জমি পাওয়া! গেল কিন্তু ঢেউ পাওয়৷ গেল না। অথচ ঢেউট! ছন্দের একটা প্রধান জিনিস। সমতল বাংলা আপন কাব্যের ভাষাকে সমতল করে দিয়েছে। এ হচ্ছে কাজকে সহজ করবার একটা কৃত্রিম বাধা নিয়ম । আমরা খন বলি - খার্ডক্লাসের' ছেলে, তখন মনে ধরে নিই যেন সব ছেলেই সমান মাত্রার । কিন্তু আসলে -থার্ডক্লাসের আদর্শকে যদি একটা! সরল রেখা বলে ধরে