ছন্দের অর্থ ৪৯
নিই তবে কোনো! ছেলে সেই রেখার উপরে চড়ে কেউবা তার নিচে নামে । ভালে! শিক্ষাপ্রণালী তাকেই বলে যাতে প্রত্যেক ছেলেকে তার নিজের স্বতন্ত্র বুদ্ধি ও শক্তির মাত্রা অনুসারে ব্যবহার করা যায়, খার্ডক্লাসের একট! কাল্পনিক মাত্রা ক্লাসের সকল ছেলের উপরে সমানভাবে আরোপ না করা যায়। কিন্তু কাজ সহজ করবার জন্য বহু অসমানকে এক সমান কাঠগড়ায় বন্দী করবার নিয়ম আছে। সাধু বাংলার ছন্দে তারই প্রমাণ পাই। হল্তই১ হোক হসস্তই হোক 'আর যুক্তবর্ণ ই হোক এই ছন্দে সকলেরই সমান মাত্রা । অথচ প্রারুত-বাংলার প্রকৃতি সমতল নয়। সংস্কৃতের নিয়মে না
হোক নিজের নিয়মে তার একটা ঢেউখেলা আছে। তার কথার সকল অংশ সমান ওজনের নয়। বস্তুত পদদেপদেই তার শব্দ বন্ধুর হয়ে ওঠে। তার কারণ, প্রারৃত-বাংলায় হসস্তের প্রাদুর্ভাব খুব বেশি। এই হসন্তের ছারা ব্যঞ্জনবর্ণের মধ্যে সংঘাত জন্মাতে থাকে, সেই সংঘাতে ধ্বনি গুরু হয়ে ওঠে। প্রাকৃত-বাংলার এই গ্ররুধ্বনির প্রতি যদি সদ্ব্যবহার করা যায় তাহলে ছন্দের সম্পদ্ বেড়ে যায়। প্রাকৃত-বাংলার দৃষ্টাস্ত-_
বৃষ্টি গড়ে টাপুর টুপুর নদের. এল বান্।
শিব ঠাকুরের বিয়ে হবে তিন্কম্যে দান্।
এক্ কন্যে রীধেন্ বাড়েন্ এক্ কন্তে খান্।
এক্ কন্তে নাপেয়ে বাপের্বাড়ি যান্॥ এই ছড়াটিতে ছুটি জিনিস দেখবার আছে। এক হচ্ছে বিসর্গেরং খটকালিতে ব্যঞ্তনের সঙ্গে ব্যগ্রনের সম্মিলন, আর এক হচ্ছে “বৃষ্টি” এবং “কনে কথার যুক্তবর্ণকে যখোচিত মর্যাদা দেওয়া। এই ছড়া
১. শ্থরান্ত' অর্থে ব্যবহৃত । গ্রন্থপরিচয় ভষ্টবা। » বিদর্গের নয়, হসন্তের।
৪