কার্য্য হইতে পারিব না। আমি—রাজবাটীর একমাত্র বংশধর, নাম বিদ্যুৎপ্রকাশ।
আমিও সেইরূপ অনুমান করিয়াছিলাম, সম্প্রতি এক সংবাদপত্রে তাঁহার বিবাহের বিজ্ঞাপন বাহির হইয়াছিল, তাহাও জানিতাম, সেই জন্য বলিলাম, “তবে আপনারই বিবাহের কথা সেদিন সংবাদ-পত্রে পাঠ করিয়াছি?”
যুবক বিবাহের নাম শুনিয়া যেন বিমর্ষ হইলেন? বলিলেন, “এখন আর সে কথায় কাজ নাই। আপনি আমার বক্তব্য শুনুন। তাহার পর যেমন বুঝিবেন, সেইরূপ কার্য্য করিবেন।”
আমি আগ্রহসহকারে বলিলাম, “ভাল, তাহাই হউক।”
যু। প্রায় তিন বৎসর অতীত হইল, আমি কিছুদিন কলিকাতায় বাসা ভাড়া লইয়া বাস করিতাম। সেই সময়ে এক প্রসিদ্ধ অভিনেত্রীর সহিত আমার ঘনিষ্ঠতা হয়।
আমি সমস্ত কথা না শুনিয়াই ব্যাপার বুঝিতে পারিলাম। পরে বলিলাম, “সেই অভিনেত্রী এখন আপনাকে কোন ফাঁদে ফেলিবার পরামর্শ করিতেছে, কেমন?”
যু। আজ্ঞা হাঁ।
আ। সে বলে কি?
যু। আমার বিবাহের সংবাদ পাইয়া সে আমার ভাবী শ্বশুরকে আমাদের সকল কথা বলিবার চেষ্টা করিতেছে। যদি আমার শ্বশুর মহাশয় আমার পূর্ব্ব চরিত্রের কথা জানিতে পারেন, তাহা হইলে তিনি কখনও আমাকে তাঁহার কন্যা সমর্পণ করিবেন না। ক্রমে আমার পিতাও আমার গুণ জানিতে পারিবেন, তাহা হইলে আমার আর মুখ দেখাইবার উপায় থাকিবে না।