পাঁচ মিনিট অতীত হইতে না হইতে সেই অভিনেত্রীও অট্টালিকা হইতে বহির্গত হইল। এক ভৃত্য ঠিক সেই সময়ে একখানি ভাড়াটীয়া গাড়ী ডাকিয়া আনিল। অভিনেত্রী সেই গাড়ীতে উঠিয়া বলিল, “ব্রাহ্ম সমাজ। যদি দশ মিনিটের মধ্যে ঐ স্থানে লইয়া যাও, তাহা হইলে পাঁচ টাকা বক্সিস দিব।”
গাড়োয়ান বেগে গাড়ী চালাইয়া দিল। আমি কি করিব, স্থির করিতে পারিলাম না। ঠিক সেই সময়ে আর একখানি খালি গাড়ী যাইতেছিল। আমি গাড়োয়ানের নিকট যাইয়া বলিলাম, “যদি আমায় ব্রাহ্ম সমাজে দশ মিনিটের মধ্যে পঁহুছাইয়া দিতে পার, তাহা হইলে দশ টাকা পুরস্কার দিব।”
পুরস্কারের লোভে সে গ্রাণপণে অশ্বচালনা করিল। আমি অনেক গাড়ী চড়িয়াছি, কিন্তু এই কোচম্যান যেমন দ্রুত গাড়ী চালাইয়াছিল, তত দ্রুত আমি এ পর্য্যন্ত আর কখনও গমন করি নাই। কিন্ত আমি যতই তাড়াতাড়ি করি না কেন, আমার গাড়ী যখন ব্রাহ্ম সমাজের দ্বারে আসিয়া লাগিল, তাহার পূর্ব্বে অপর দুইখানি গাড়ী আসিয়া পড়িয়াছে।
গাড়োয়ানকে পুরস্কার দিয়া বিদায় করিয়া বাহিরে অপেক্ষা করিতে লাগিলাম। প্রায় অর্দ্ধঘণ্টা পরে তাঁহারা সমাজ হইতে বাহির হইয়া চলিয়া গেলেন। আমি তখন সমাজের ভিতর গিয়া সন্ধান লইলাম।
আমি যাহা ভাবিয়াছিলাম, বাস্তবিক তাহাই ঘটিয়াছিল। গণপত অভিনেত্রীকে ব্রাহ্মমতে বিবাহ করিয়াছেন। এই সংবাদে আমি কিছু চিন্তিত হইলায়। ভাবিলাম, যদি আজই উভয়ে পলায়ন করে, তবে বিদ্যুৎ প্রকাশের ফটো আদায় হইল না।