বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ছবি - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ছবি।
৩৯

 আ। তবে তুমি আমাদের সঙ্গে চল।

 দ্বা। আমাকে আর কেন জড়ান মহাশয়! গরিবকে মাপ করুন। আপনি ত সকলই জানেন।

 আমি দ্বারবানের কথায় হাস্য করিলাম। পরে বিদ্যুৎপ্রকাশকে সঙ্গে লইয়া অভিনেত্রীর বৈঠকখানায় প্রবেশ করিলাম; যেখানে ছবিখানি লুক্কায়িত ছিল, সেই আলমারির ভিতর একখানি সামান্য আয়নার কাচ ও কাষ্ঠের মধ্যস্থল হইতে তাহা বাহির করিয়া ফেলিলাম।

 আয়নাখানি এরূপে নির্ম্মিত যে, উহার কাচ ও কাষ্ঠের মধ্যে সামান্য় পরিমাণ স্থান ব্যবধান ছিল। অথচ এরূপভাবে গঠিত যে, সহজে কেহ তাহা জানিতে পারিবে না। ঐ ব্যবধানের মধ্যেই ছবিখানি লুক্কায়িত ছিল। আমি অভিনেত্রীকে ঐ স্থান হইতেই ছবিখানিকে অর্দ্ধেক বাহির করিতে দেখিয়াছিলাম।

 যাহা বাহির করিলাম, তাহা প্রথমতঃ দেখিলে ছবি বলিয়া বোধ হইল না। দেখিলাম, একটী কাগজের মোড়ক। শশব্যস্তে মোড়কটী খুলিয়া ফেলিলাম। দুইখানি ছবি ও একখানি পত্র বাহির হইল। পত্রখানি আমারই উদ্দেশে লেখা, পত্রের উপরে আমার নাম পরিষ্কাররূপে লিখিত ছিল।

 ছবি দুইখানির মধ্যে একখানিতে বিদ্যুৎপ্রকাশ ও অভিনেত্রী একত্রে, অপরখানিতে অভিনেত্রী স্বয়ং একাকিনী বিরাজমানা। প্রথমখানি দেখিবামাত্র বিদ্যুৎপ্রকাশ চকিতের মত তুলিয়া লইলেন। দ্বিতীয়খানি পড়িয়া রহিল। বিদ্যুৎপ্রকাশ মনে করিয়াছিলেন, সেখানি পত্রের মর্ম্ম জানিয়া পরে লইবেন।