জ্বলে ওঠে কি স্তালিনগ্রাদের প্রতিরােধে, মহাত্মাজীর মুক্তিতে,
প্যারিসের অত্যুত্থানে?
দুঃসংবাদকে মনে হয় না কি
কালাে অক্ষরের পরিচ্ছদে শােকযাত্রা?
যে খবর প্রাণের পক্ষপাতিত্বে অভিষিক্ত
আত্মপ্রকাশ করে না কি বড়াে হরফের সম্মানে?
এ প্রশ্ন অব্যক্ত অনুচ্চারিত থাকে
ভােরবেলাকার কাগজের পরিচ্ছন্ন ভাঁজে ভাঁজে।
শুধু আমরা দৈনন্দিন ইতিহাস লিখি।
তবু ইতিহাস মনে রাখবে না আমাদের—
কে আর মনে রাখে নবান্নের দিনে কাটা ধানের গুচ্ছকে?
কিন্তু মনে রেখে তােমাদের আগেই আমরা খবর পাই
মধ্যরাত্রির অন্ধকারে
তােমাদের তন্দ্রার অগােচরেও।
তাই তােমাদের আগেই খবর-পরীরা এসেছে আমাদের
চেতনার পথ বেয়ে
আমার হৃদযন্ত্রে ঘা লেগে বেজে উঠেছে কয়েকটি কথা
পৃথিবী মুক্ত—জনগণ চূড়ান্ত সংগ্রামে জয়ী।
তােমাদের ঘরে আজো অন্ধকার, চোখে স্বপ্ন।
কিন্তু জানি একদিন সে সকাল আসবেই
যেদিন এই খবর পাবে প্রত্যেকের চোখেমুখে
সকালের আলােয়, ঘাসে ঘাসে, পাতায় পাতায়।
আজ তােমরা এখনাে ঘুমে॥
পাতা:ছাড়পত্র - সুকান্ত ভট্টাচার্য.pdf/১৮
অবয়ব
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৯