পাতা:ছায়াদর্শন - কালীপ্রসন্ন বিদ্যাসাগর.pdf/১১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Οι ο 嶄 ছায়াদর্শন। sso-os এই ক্ষুদ্র প্রবন্ধে জগদীশ্বরের রূপের কথা লইয়া কিছু লিখিতে প্ৰয়াস পাইব না। কারণ, তঁাহার যে বিশ্বব্যাপি রূপ তুষার-মণ্ডিত হিমাদ্রিশৃঙ্গে এক মূৰ্ত্তিতে, তরঙ্গায়িত সমুদ্রের উচ্ছাসে আর এক মূৰ্ত্তিতে,-শিশুর অস্ফাট হাস্তে এক ভাবে, শিশুজননী নয়ন-মনোমোহিনীর সলজ্জনয়নে অমর এক ভাবে,— হসিত কুসুম, দুলিত লতা, এবং লতাবেষ্টন-পরিশোভিত। পাদপে তৃতীয় এক ভাবে শোভা পাইতেছে, অথবা সময়বিশেষে, যেন ঝলকে ঝলকে উছলিয়া পড়িতেছে, তাহ প্ৰাণে অনুভব করা এবং ভাষায় সামান্যরূপে ব্যক্ত করাও এই প্ৰবন্ধলেখকের মত অকৃতী অধমের কাৰ্য্য নহে। কিন্তু তাহার অজস্র প্রবাহিত, অনন্তধারায় প্রস্থত প্রেম সম্পর্কে দুই একটি কথা কহিব। কেন না, প্ৰাণে সে প্রেমের কণিকামাত্ৰও পোষণ করিতে না পারিলে, জীবন ধারণে প্রয়োজন থাকে না। ;-জীবনে কোন প্রকার সুখ-শান্তি সস্তুবে না। পুণ্যপুঞ্জময় ভারতভুমির পুরাতন ঋষিদিগের মধ্যে অনেকে জগদীশ্বরের প্ৰেম প্রকৃতই প্ৰাণে অনুভব করিতেন, এবং অনুভব করিয়া আনন্দে অবশ, আত্মহারা, অথবা আত্মবিস্মৃতবৎ রহিতেন। যখন হৃদয় প্রেম-স্বজুৰ্ত্তির অপ্রতিম আনন্দে উচ্ছসিত হইত, তখন তঁাহারা গলদশ্রালোচনে ও গদগদ বচনে বলিয়া “রসো বৈ সং-রাসো বৈ সং—রসে। বৈ সঃ।” । उिनि রস-স্বরূপ-তিনি রস-স্বরূপ-তিনি স্বাদুমধুর প্ৰাণ-শীতল

                • =