পাতা:ছায়াদর্শন - কালীপ্রসন্ন বিদ্যাসাগর.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

So করিবে । কিন্তু, উপরিলিখিত অত্যাচারের নিবৃত্তি হইতে না। হইতেই, করুণাসাগর অনন্তদেবের অপার-মহিমায়, উদ্ধধামনিবাসী লোকহিতৈষী বৈজ্ঞানিক দেবাত্মারা, পৃথিবীর সহিত পারলৌকিক জগতের, কৰ্ম্মসম্বন্ধ স্থাপনের অভিলাষে-যাহাতে পার্থিব সমাজের নিম্ন শ্ৰেণীস্থ মুখ ও মতিহীন দুঃখীরাও পরলোককে প্ৰত্যক্ষ সত্যুবৎ বুঝিতে পারিয়া জীবনের প্রকৃত বত্মে পদচারণা করিতে সমর্থ হয়, তজজন্য দলবদ্ধ হইয়া কৰ্ম্মব্রত গ্ৰহণ করিলেন । দেবতাদিগের এইরূপ দলবদ্ধ ক্রিয়ার” কথাটা পাঠকের নিকট আপাততঃ বড়ই অদ্ভুত ও বিশ্বাসের অযোগ্য আশ্চৰ্য্য বলিয়া বোধ হইতে পারে। কেন না, কোথায় বা সেই অদৃশ্য পরলোক ও পরলোকের দেব-শক্তিসম্পন্ন অদৃশ্য অথচ নিতাক্রিয়ান্বিত উন্নত আত্মা, আর কোথায় বা বিড়াতের তার ও ধূমযানে আচ্ছাদিত জড়-বিজ্ঞান-বিমূঢ় এই নর-লোক । পর-লোক-নিবাসী, শিল্পানিপুণ, সৎ-জ্ঞান-সমুজ্জ্বল, সদাশয় মহাপুরুষেরা আবার অবসর পাইলেই পৃথিবীতে আগমন করেন, এবং পৃথিবীর মঙ্গলাৰ্থ একটি কিংবা অনেক আত্মিক ও আত্মিকারে সঙ্গে লইয়া, নানাবিধ সদনুষ্ঠানে ব্যাপৃত হন, ইহা পৃথিবীর বিষয়বাণিজ্যব্রত, ভোগ-সুখাসক্ত মানুষ্যের পক্ষে কল্পনা করাও কঠিন। কিন্তু, আমার ভরসা আছে, পাঠক এই গ্রন্থের কিয়দংশ পাঠ করিলেই বুঝিতে পাইবেন যে, পর-লোক আর নর-লোক ওতপ্ৰোত জড়িত, এবং পর-লোকের সাধুহৃদয় অধিবাসীরা নর-লোকের পরম বান্ধব | র্যাহারা পর-লোকে যাইয়া দেবত্ব