পাতা:ছায়াদর্শন - কালীপ্রসন্ন বিদ্যাসাগর.pdf/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

م أعمالا জন্য প্ৰস্তুত হইলেন। তঁাহারা বেলা থাকিতেই সান্ধ্য আহার সমাপন করিয়া নিজ নিজ শয্যাসংস্থানের ব্যবস্থা একটুকু পরিবৰ্ত্তিত করিয়া লইলেন, এবং ফক্স, এক পৃথক ঘরে রহিয়া, গৃহিণী ও বালিকা দুইটিকে আর এক ‘ঘরে পৃথক পৃথক छ्झे)ि শয্যায় রাখিলেন। মাতা মারগারেটু, শয্যায় প্রবিষ্ট হইয়াই, বালিকা দুইটিকে ধমকাইয়া বলিলেন,-“দেখ, তোরা কিছুতেই ভীত হইস না। মাঠের মধ্যে আমাদের বাড়ী। চারিদিকে হুহু শব্দে বাতাস বহে। সেই বাতাসে সমস্ত ঘরটা মাঝে মাঝে কঁপিয়া উঠে এবং খিড়কী, জানালা ও কলাটগুলি ঠক ঠক করিয়া শব্দ করে। তোরা প্রকৃত কথা না বুঝিয়া ভয়ে, আঁস্থির হাইস্ কেন ?” গৃহস্বামী মনের ভয় গোপন রাখিয়া, পূর্ব পূর্ব দিনের মত, আজিও এইরূপ উপদেশ দিলেন। গৃহিণী মারগারেটুও, প্রকৃত সত্য গোপন ও উপদেশ-দান-বিষয়ে স্বামীর প্রদর্শিত পথেই কিছুকাল চলিলেন । কিন্তু এরূপ বৃথা উপদেশে কেহ চিত্তে সাহস পাইতে পারে কি ? বালিকা দুইটি, মুখ ফুটিয়া না কহিলেও, মনে মনে বুঝিত যে, পিতামাতা যাহা কহিতেছেন, তাহা তাহাদিগের প্রাণের কথা নহে। সন্ধ্যা হইল। সন্ধার পরীক্ষণেই, গৃহস্বামী তাহার পৃথক ঘরে যাইয়া শুইলেন, এবং গৃহিণী মারগারেট বালিকা দুইটিরে লইয়া, তাহার জন্য ব্যবস্থাপিত ঘরে, ঔৎসুক্যের সহিত পৃথক পৃথক শয্যায় শয়ান হইলেন । অতীত অনেক রাত্ৰিতে তােহাদিগের ঘুম হয় নাই। তাই, আজি রাত্রি হইতে না হইতেই,