পাতা:ছায়াদর্শন - কালীপ্রসন্ন বিদ্যাসাগর.pdf/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ο ο প্রতিবেশিদিগের মধ্যে সর্বাগ্রে আসিলেন মিসেস রেডফিল্ড। তিনি সধবা কি বিধবা, কোন গ্রন্থে তাহার উল্লেখ নাই | সংবাদ শুনিয়া তিনি হাসিয়া অধীর । যে মরিয়া গিয়াছে, সে জীবিতৰৎ সংকেতে কথা কহিতেছে, ইহা তিনি কোন প্রকারেই বিশ্বাস করিতে পারিতেছেন না । তিনি হাসিতে হাসিতে অধীর হইয়া ফকসের গৃহে চলিয়া আসিলেন, এবং, মিসেস ফকাসের মত, আপনার মৃত কন্যার সংবাদ পাইয়া ক্ষণকাল দর-দরিত ধারায় অশ্রণ বিসৰ্জন করিলেন । মনে মনে বলিলেন,-“হা জগদীশ্বর, তুমি কি শোকাতুরা দুঃখিনীদিগকে এক সঙ্গে শিক্ষা ও সাস্তুনা দানের জন্যই স্বৰ্গলোক হইতে, এই অভিনব অথচ অদ্ভুত পদ্ধতিতে, তাড়িত বাৰ্ত্তার মত সংবাদ পাঠাইতেছি ?” মিসেস রেড ফিল্ড যখন বাড়ীতে ফিরিয়া গেলেন, তখন ঐ নিদ্ৰিত পল্লী জাগরিত হইল ; পাড়ায় একটা হৈ চৈ ‘শোর’ পড়িল, এবং প্রতিবেশীরা পাঁচজন-সাত জন, দশ জন, বিশ জন, এইরূপ করিয়া, দলে দলে, ঐ রাত্ৰিতেই ফকাসের গৃহে যাইয়া পহুচিলেন। কাহারও মনে কৌতুক ও ঔৎসুক্য, কাহারও মনে ভয় ; দুই চারিটি শিক্ষিতের মনে পারলৌকিক তত্ত্ব সম্পর্কে গভীর প্রশ্ন, এবং দুই চারিটি বিজ্ঞানগন্ধি * পণ্ডিতের চিত্তে ভয়ঙ্কর ক্ৰোধ। ক্রোধের এই কারণ যে, যে কথা

  • এই শব্দটি ব্যাকরণের স্বত্র অনুসারে । কড়ায় ক্ৰাস্তিতে সুসিদ্ধ হয় কি না,ইহা লইয়া বিচার-বিতর্কের পথ আছে। কিন্তু শব্দ প্রয়োজনীয় ।