পাতা:ছায়াদর্শন - কালীপ্রসন্ন বিদ্যাসাগর.pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&l/o ভাল মিডিয়ামরূপে বিকসিত হইয়া, শত সহস্ৰ লোকের চৈতন্য ও বিস্ময় জন্মাইবে ; আর আমেরিকা ও ইউরোপের অনেক স্থানেই লোকান্তরিত আত্মা এবং পরলোকের অস্তিত্ব বিষয়ক মহাসত্য অল্পকালের মধ্যেই প্ৰচারিত হুইবে । পাঠকের মনে আছে, ৩১ শে মার্চ শুক্রবার রাত্ৰিতে, হাইডসভিল গৃহে: সত্তর আশী জন ভদ্রলোকের সমাগম হইয়াছিল, এবং আগন্তুকদিগের মধ্যে অনেকেই সমস্ত রাত্ৰি সেই “গৃহে অবস্থিত ছিলেন। রাত্ৰি প্ৰভাত হইবার পর, ১লা এপ্রিল হইতে, হাইডসভিল পল্লীতে লোকে লোকারণা হইল। নিকটবৰ্ত্তি গ্রামনিচয় ও নগরসমূহ হইতে শত শত লোক, তীর্থযাত্রীর মত শ্রেণীবদ্ধ হইয়া, হাইডসভিলের অভিমুখে যাইতে আরম্ভ করিল। শত শত লোক অশ্বারোহণে, শত শত লোক ঘোড়ার গাড়া কিংবা গরুর গাড়ীতে এবং বহুশত লোক পদব্ৰজে ফক্স পরিবারের সেই কুটীরের দিকে প্ৰধাবিত হইল। অনেকে বলিল, এই ব্যাপারের আগাগোড়া সমস্তই ফকাসের স্ত্রী মারগারেটু এবং তঁাহার দুইটি বালিকার চাতুরী মাত্র। চাতুরী ছাড়া ইহার মধ্যে সত্যের কোন সংশ্ৰব নাই । যাহারা একটুকু বিজ্ঞ, তাহারা কমিটি করিয়া কঠোর প্রণালীতে পরীক্ষা করিবার জন্য প্ৰস্তুত হইলেন। ক্রমে ক্রমে, কমিটির পর কমিটি বসিল । কমিটির সভ্যোরা কেহ বারিষ্টার, কেহ বিচারক, কেত বৈজ্ঞানিক, কেহ সুশিক্ষিত শিল্পী। তঁহারা পরীক্ষার কঠোরত। বিষয়ে কিছুই বাকী রাখিলেন না, এবং যাদুকরের চাতুরী