পাতা:ছায়াদর্শন - কালীপ্রসন্ন বিদ্যাসাগর.pdf/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

w/o করে না। বস্তুতঃ, হিন্দুর বৃদ্ধিশ্রাদ্ধ ও পার্বণাদি সমস্ত কাৰ্য্যই পিতৃপুরুষের পূজা, এবং এ সকল অনুষ্ঠানের প্রত্যেকটিই বেদোক্ত তানুষ্ঠান। হিন্দুর বেদে পারলৌকিক জগতের একটি পবিত্র ধামের নাম পিতৃলোক, এবং র্যাহারা ভক্তির সহিত লোকান্তরিত পিতামাতার পূজা করেন, তাহাদিগের নাম পিতৃব্ৰত। যথা শ্ৰীমদ্ভাগবতগীতায়,-“পিতৃন যান্তি পিতৃব্ৰতাঃ”। বেদের ন্যায়, বাইবেল, কোরাণ ও জেন্দাবেস্তা প্ৰভৃতি ধৰ্ম্ম গ্রন্থেও পরলোক ও পরলোকবাসীর অশেষ কথা আছে। কারণ, পরলোক না থাকিলে ধৰ্ম্ম কি ? এবং সেই নিরাশ, নিরীশ্বর, নিরালম্ব ধৰ্ম্মের মাহাত্ম্য অথবা ভবিষ্যৎই বা কি ? কিন্তু পরলোক-তত্ত্বের পৃথ্বব্যাপী বৈজ্ঞানিক-প্রচার ১৮৪৮ খ্ৰীষ্টাব্দের ৩১শে মার্চ হইতে। সেই সময় অবধি অদ্য পৰ্য্যন্ত, এ প্রসঙ্গে যে এক বহুশাখাবিস্তারিত বিরাট সাহিত্যের স্বষ্টি হইয়াছে, তাহাতে অন্ততঃ সহস্ৰ বৈজ্ঞানিক এবং বিংশতি সহস্ৰ বিখ্যাত পণ্ডিতের কোন না কোনরূপ প্ৰত্যক্ষ দর্শনের সাক্ষ্য আছে। এ বিরাট সাহিত্যের এক অংশের Rio Philosophy of Apparitions offe ছায়াদর্শন। লোকান্তর-বাসি শত্রু কিংবা মিত্ৰ, প্ৰাণাধিক প্ৰণয়িনী অথবা ধৰ্ম্মম্মলিত বিশ্বাস-ঘাতিনী, ছায়ামূৰ্ত্তিতে মনুস্যকে দর্শন দান করিয়া, আপনার সুখ-দুঃখ জানাইয়াছে অথবা পারলৌকিক জীবনের কথা কহিয়াছে।