পাতা:ছায়াদর্শন - কালীপ্রসন্ন বিদ্যাসাগর.pdf/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

هاليك শক্তিতে অনন্ত --সর্বব্যাপী, সৰ্বাশ্রয় পরমাত্মা । * তিনি প্ৰেম-করুণার অপার ও অতল সমুদ্র। ২। জীব কীটাণুকীট হইতে ক্ৰমোন্নত হইয়া এই জড়াজগতে মনুষ্যরূপে জন্ম লাভ করে-জড়দেহত্যাগের পর,চৰ্ম্মচক্ষুর অদৃশ্য অধ্যাত্মজগতে প্রবেশ করিয়া সূক্ষ্যদেহ প্ৰাপ্ত হয়, এবং সেখানে, ক্ৰম-বিকাশের নিয়মে, অনন্তকাল ব্যাপিয়া উন্নতি লাভ করিতে থাকেন এ উন্নতি সর্বজন-লভ্য ও সীমারহিত। যে আজি যার-পর-নাই নিষ্ঠর, পাপিষ্ঠ—পরপীড়ক, পরস্বপহারক এবং বিশ্বাসঘাতক, সেও সেই অধ্যাত্মজগতে, বহুকাল পৰ্য্যন্ত অনুতাপের অনলে দগ্ধ হইয়া, উচ্চশ্রেণীর দেবত্ব লাভ করিবে, এবং দেব-ভোগ্য সুখ-সম্পদের অধিকারী হইয়া জগদীশ্বরকে উৰ্দ্ধনয়নে ধন্যবাদ দিবে। ৩। মনুষ্য, ইহলোকে, মনের অতি লুকায়িত প্রদেশে, ভাল কিংবা মন্দ, পবিত্র কিংবা অপবিত্ৰ যে কোন ভাব পোষণ করে,-মুখে সত্য কিংবা অসত্য, কঠোর কিংবা মধুর যে কোন কথা কহে, এবং জীবনের প্রতিমুহূৰ্ত্তে যে কোন কাৰ্য্যের অনুষ্ঠান করে, অধ্যাত্মিজগতে প্ৰতিনিয়তই তাহার rmehuishallisulun SS SSAAAAS S gTTASMMAAAASASASS

  • অধ্যাত্মধৰ্ম্মের এই কথা ঠিক উপনিষদের কথার মত লাগে । যথা, শ্ৰীধর স্বামিধুত শ্বেতাশ্বতরীয় উপনিষদে।--

“একো দেবঃ, সৰ্ব্বভুতেষু গৃঢ়ঃ, সৰ্ব্বব্যাপী, সৰ্ব্বভূতান্তরাত্মা, কৰ্ম্মাধ্যক্ষঃ, সৰ্ব্বভুতাধিবাস, সাক্ষী চেতা: কেবলো নিগুৰ্ণশ্চ ।”