পাতা:ছায়া-বিজ্ঞান - মন্মথনাথ চক্রবর্তী.pdf/৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
ছায়া-বিজ্ঞান।

সেই সকল রশ্মি সরলভাবে আমাদিগের দৃষ্টিগোচর হয়। কিন্তু ঐ রশ্মি যদ্যপি একপ্রকার মধ্যস্তর হইতে অন্য প্রকার মধ্যস্তরের মধ্য দিয়া চালিত হয়, তাহা হইলে উহা অার সরল ভাবে যাইবে না।; অর্থাৎ উহা এক প্রকার মধ্যস্তর হইতে অন্য প্রকার মধাস্তরের মধ্যে প্রবিষ্ট হইবামাত্র ঐ রশ্মি বাকিয়া যাইবে। বায়ু, জল, কাচ, প্রভৃতি এক একটী স্বচ্ছ মধ্যস্তর। এই সকল স্বচ্ছ পদার্থের প্রকৃতিগত ঘনত্ব কোনটীর অধিক কোনটীর বা অল্প। বায়ু অপেক্ষা জল ঘন, কাচ জল অপেক্ষা ঘন, এবং হীরক কাচ অপেক্ষা ও ঘন। মধ্যবর্ত্তী স্তরের ঘনত্ব অনুসারে রশ্মি অল্প ও অধিক বাঁঁকিয়া যায়।

মনে কর ক খ একটী জল পরিপূর্ণ কাচ পাত্র এবং গ ঘ ইহার মধ্যস্থিত কল্পিত লম্ব রেখা। চ বিন্দু হইতে একটী আলোক রশ্মি ক খ এর উপর গ ঘ লম্ব রেখার দিকে আসিতেছে, ঐ রশ্মি রেখা এতক্ষণ লঘু মধাস্তরের “বায়ুব" মধ্যে ছিল, এক্ষণে বায়ু অপেক্ষা ঘন মধ্যস্তর ক খ জল মধ্যে প্রবিষ্ট হইবার সময় অন্য ভাবে বাঁঁকিয়া পড়িল। আবার যখন ঘন মধ্যস্তর ক খ হইতে বহির্গত হইল তখন পুনরায় ভিন্ন গতিতে ছ এর দিকে চালিত হইল।

অালোক-রশ্মির এই প্রকার বক্রগমনের কতক গুলি নিয়ম আছে। রশ্মি রেখা লঘুস্তর হইতে ঘনবস্তরে প্রবেশ করিবার সময় লম্বরেখার দিকে কিঞ্চিৎ বাঁঁকিয়া যায় (চিত্র দেখা ) । চ ছ রশ্মিরেখার ঘনতর মধ্যবর্ত্তী অংশটুকু গ ঘ এৱ দিকে