পাতা:ছিন্নপত্র-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-বিশ্বভারতী.pdf/১০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিলাইদহ রবিবার। ৪ জানুয়ারি ১৮৯২ কিছু আগেই পাবনা থেকে এ— তার মেম এবং কচিকাচা নিয়ে এসে উপস্থিত। মেম চা খায়, আমার চা নেই ; মেম ছেলেবেলা থেকে ডাল দু চক্ষে দেখতে পারে না, আমি অন্য খাদ্যের অভাবে ডাল তৈরি করতে দিয়েছি ; মেম ইয়ারস্ এণ্ড টু ইয়ারস্ এণ্ড, মাছ ছোয় না, আমি মাগুর মাছের ঝোল রাধিয়ে নিশ্চিন্ত হয়ে আছি। কী ভাগ্যি, কানটি, সুইট্‌স ভালোবাসে, তাই একটা বহু কালের শক্ত শুকনো সন্দেশ বহু কষ্টে কাটা দিয়ে ভেঙে খেলে। এক বাক্স বিস্কুট গতবারের রসদের অবশেষস্বরূপে ছিল, সেটা কাজে লাগবে। আমি আবার একটা মস্ত গলদ করেছি ; আমি সাহেবকে বলেছি, ‘তোমার মেম চা খায়, কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে আমার চা নেই, কোকে অাছে।’ সে বললে, “আমার মেম চায়ের চেয়ে কোকো বেশি ভালোবাসে । আমি আলমারি ঘেঁটে দেখি কোকো নেই, সবগুলোই কলকাতায় ফিরে গেছে। আবার তাকে বলতে হবে, চাও নেই, কোকোও নেই, পদ্মার জল আর চায়ের কাৎলি আছে। দেখি কী রকম মুখের ভাব হয়। সাহেবের ছেলে হুটাে এমন দুরন্ত, এবং দুষ্ট, দেখতে, সে আর কী বলব। মাঝে মাঝে সাহেবে মেমেতে খুব গুরুতর ঝগড়া হয়ে যাচ্ছে, আমি এ বোট থেকে শুনতে পাচ্ছি। ছেলেদের কান্না, চাকর-বাকরদের চেচামেচি এবং দম্পতীর তর্কবিতর্কের জালায় অস্থির হয়ে আছি। আজ আর কোনো কাজকর্মলেখাপড়ার সুবিধে দেখছি নে। মেমটা তার ছেলেকে ধমকাচ্ছে, “What a little v$£t$ you are f' ττ< Cœi, eTtwf* wttg eqসব উপদ্রব কেন । 石》ö