পাতা:ছিন্নপত্র-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-বিশ্বভারতী.pdf/১১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8。 বোলপুর

  • निदांब्र । s७ &छार्छ sv०२ এখানে রাত্রে কোনো গিজের ঘড়িতে ঘণ্টা বাজে না, এবং কাছাকাছি কোনো লোকালয় না থাকাতে পাখিরা গান বন্ধ করবা মাত্রই সন্ধ্যার পর থেকে একেবারে পরিপূর্ণ নিস্তব্ধতা আরম্ভ হয়। প্রথম রাত্রি এবং অর্ধ রাত্রে বিশেষ কোনো প্রভেদ নেই। কলকাতায় অনিদ্রার রাত্রি মস্ত একটা অন্ধকার নদীর মতে, খুব ধীরে ধীরে চলতে থাকে ; বিছানায় চক্ষু মেলে চিৎ হয়ে পড়ে তার গতিশব্দ মনে মনে গণনা করা যেতে পারে। এখানকার রাত্রিটা যেন একটা প্রকাও নিস্তরঙ্গ হ্রদের মতো— আগাগোড়া সমান থমথম করছে, কোথাও কিছু গতি নেই। যতই এ পাশ ফিরি এবং যতই ও পাশ ফিরি, একটা মস্ত যেন অনিদ্রার গুমট ক’রে ছিল, তার মধ্যে প্রবাহের লেশমাত্র পাওয়া যায় না। আজ সকালে কিছু বিলম্বে শয্যা ত্যাগ করে আমার নিচেকার ঘরের তাকিয়া ঠেসান দিয়ে, বুকের উপর সেট রেখে, পায়ের উপর পা তুলে দিয়ে, সকালের বাতাস এবং পাখির ডাকের মধ্যে একটি কবিতা লিখতে প্রবৃত্ত হয়েছিলুম। বেশ জমে এসেছিল— মুখ সহাস্য, চক্ষু ঈষৎ মুদ্রিত, মাথা ঘন ঘন আন্দোলিত এবং গুন গুন আবৃত্তি উত্তরোত্তর পরিস্ফুট হয়ে উঠছিল— এমন সময় একখানি চিঠি, একখানি সাধনা, একখানি সাধনার প্রুফ এবং একখানি Monist কাগজ পাওয়া গেল। চিঠিখানি পড়লুম এবং সাধনার পাতাগুলোর মধ্যে চোখ দু’টােকে একবার সবেগে ঘোড়দৌড় করিয়ে নিয়ে এলুম। তার পরে পুনশ্চ শিরশ্চালন ক’রে অফুট গুঞ্জনস্বরে কবিত্বে প্রবৃত্ত হলুম। শেষ ক’রে ফেলে তবে অন্য কথা। একটি কবিতা লিখে ফেললে যেমন

Y S 8