পাতা:ছিন্নপত্র-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-বিশ্বভারতী.pdf/১৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԳԵ কলিকাতা ماہِ مراد \f&taہی • ہا . কাল তাই রাত্রি দশটা পর্যন্ত ছাতে পড়ে থাকতে পেরেছিলুম। চতুর্দশীর চাদ উঠেছিল— চমৎকার হাওয়া দিচ্ছিল— ছাতে আরকেউ ছিল না। আমি একলা পড়ে পড়ে আমার সমস্ত জীবনের কথা ভাবছিলুম। এই তেতালের ছাত, এইরকম জ্যোৎস্না, এইরকম দক্ষিণের বাতাস জীবনের স্মৃতিতে কত রকমে মিশ্রিত হয়ে আছে। দক্ষিণের বাগানের শিমুগাছের পাতা ঝর ঝর শব্দ করছিল, আমি অর্ধেক চোখ বুজে আমার ছেলেবেলাকার মনের ভাবগুলিকে মনে আনবার চেষ্টা করছিলুম। পুরোনো স্মৃতিগুলো মদের মতো ; যত বেশিদিন মনের মধ্যে সঞ্চিত হয়ে থাকে, ততই তার বর্ণ এবং স্বাদ এবং নেশা যেন মধুর হয়ে আসে। আমাদের এই স্মৃতির cRTsvref> 3Cẹi RIGR søJ ‘in the deep-delved earth” ঠাগু করে রেখে দেওয়া যাচ্ছে— তখন বোধ হয় ছাতের উপর জ্যোৎস্না রাত্রে এক-এক ফোটা করে আস্বাদ করতে বেশ লাগবে } অল্প বয়সে মানুষ কেবলমাত্র কল্পনা এবং স্মৃতিতে সন্তুষ্ট থাকে না, কেননা তখন তার রক্তের জোর, তার শরীরের তেজ, তাকে কিছুএকটা কাজে প্রবৃত্ত করতে চায় ; কিন্তু বুড়ে বয়সে যখন স্বভাবতই আমরা কাজে অক্ষম, শরীরের যৌবনের অতিরিক্ত তেজ আমাদের কোনোরকম তাড়ন করছে না, তখন স্মৃতি বোধ হয় আমাদের পক্ষে যথেষ্ট— তখন জ্যোৎস্নারাত্রের স্থির জলাশয়ের মতো আমাদের আচঞ্চল মনে পূর্বস্মৃতির ছায়া এমনি পরিষ্কার স্পষ্ট ভাবে পড়ে যে, বর্তমান ব্যাপারের সঙ্গে তার প্রভেদ বোঝা শক্ত । >\oo