পাতা:ছিন্নপত্র-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিলাইদহ, ১৩ই মে, ১৮৯৩ । আজ টেলিগ্রাম Coso Go Missing gown lying Post office go ol BB BB BB S BB BB BBB DBB BBBB BBBBB BB BBBB BB এক অর্থ হচ্চে—গাউনটা মিসিং এবং পোষ্ট্র অফিসট লাইং । দুই অর্থই সম্ভব হতে পারে—কিন্তু যে পর্য্যন্ত প্রতিবাদ না শুনি সে পৰ্য্যন্ত প্রথম অর্থ টাই গ্রহণ করা গেল । কিন্তু মজা হচ্চে এই—সঙ্গে সঙ্গে যে চিঠিথানি এসেচে তাতে পরিষ্কার করে বলা আছে একটা গাউন যে পাওয়া যা নি তাতে আর কোনো সন্দেহ নেই । বেচারা চিঠি । তার জিন্মায় যে কয়টি কথা লেফাফায় পুরে দেওয়া হয়েচে সেই কয়টি কথা কাধে করে নিয়ে দীর্ঘ পথ টিকতে টিকতে চলে আস্চে – ইতিমধ্যে যে পুথিবীতে কত কি হয়ে যাচ্চে তা সে জানে না, এবং তার ছোট ভাই যে এক লম্ফে তাকে ডিঙিয়ে তার সমস্ত কথার একটিমাত্র সংক্ষেপ রূঢ় প্রতিবাদ নিয়ে এসে হাজির হল তারও সে জবাব দিতে পারে না ; সে ভালমানুষের মত বলে “আমি কিছু জানিনে বাপু, আমাকে সে যা বলে দিয়েচে আমি তাই বয়ে এনেচি ” বাস্তবিক এনেচে বটে । একটি কথার এদিক ওদিক হয়নি—সমস্ত পথটি মাড়িয়ে, দীর্ঘ পথের কত চিহ্ন, অষ্ট্রেপৃষ্ঠে কত ছাপ নিয়েই বেচারা ঠিক সময়ে এসে উপস্থিত হয়েচে । ত হোক তার খবর ভুল, আ ম তাকে ভালবাসি । আর তারে চড়ে চক্ষের পলকে টেলিগ্রাফ এলেন—কোথাও পথশ্রমের কোন চিকু নেই—লেফাফাপানি একেবারে রাঙা টক্‌ টক্‌ করচে—হড় বড় তড় বড় করে ফুটে কথা বল্লেন আর ভিতর থেকে আটটা দশটা কথা পড়ে গেছে – তার মধ্যে ব্যাকরণ নেই ভদ্রতা নেই কিছু নেই - একটা সম্বোধন নেই একটা বিদায়ের শিষ্টতা ও নেই, আমার প্রতি যেন তার কিছুমাত্র বন্ধুতার ভাব নেই, কেবল কোনো মতে তা ট্রাতাড়ি কথাটা যেমন তেমন করে বলে ফেলে দায় কাটিশ্বে চলে যেতে পারলে বাঁচে ।