নী। আপনার মনের কথা আর আপনি বলতে পারবি নে! তবে কি তোর দাদাকে ও কথা জিজ্ঞাসা করব নাকি?
ক। তা বইকি! আচ্ছা তুই বল দেখি সে দিন কাঁদ্লি কেন?
নী। সত্যি কথা বলব? তোর দাদার উপর অভিমান হয়েছিল।
ক। কেন গো?
নীরজা একটু হাসিয়া বলিল “ভাই, ও কথা জিজ্ঞাসা করিসনে। অভিমানের কারণ কিছুই নেই, শুধু শুধু।”
ক। আমারো ভাই তবে এরূপ ভাবের কারণ কিছুই নেই, তোকে আর কি বলব।
নী। দূব ভাই, তুই দেখছি ছাড়্বিনে। সে পাগলামীর কথা বলতে বড় লজ্জা করে, কিন্তু নিতান্তই শুনবি?
ক। যদি বলিস্।
নী। দেখ্ ভাই আমি নতুন তোর কাছে পান সাজতে শিখে, নিজে এক পান সেজে বাইরে তাঁকে পাঠিয়ে দিই, রাত্রে দেখা হলে জিজ্ঞাসা করলুম—খেয়েছিলে? তিনি বল্লেন, সেখানে একজন ভদ্রলোক থাকায় পানটি তাঁকে দিতে হয়েছিল। এতেই ভাই, আমার বড় দুঃখ হল।
তাহার অভিমানের কারণ শুনিয়া কনক একটু হাসিয়া বলিল “তোর, ভাই এত অল্পে অভিমান হয়?”
নীরজা একটুখানি লজ্জার হাসি হাসিয়া বলিল “আমিতো এখন তোকে সব খুলে বল্লুম—এবার তুই বল দেখি তোর বিষণ্ণ ভাবের কারণ কি? কেন ভাই, তোর যখন এত অল্পে দাদার উপর অভিমান হয়, আমি দাদাকে এত ভালবাসি যখন ভাবি তিনি আমাকে ভালবাসেন না, তখন কি দুঃখ হয় না?
এই কথা শুনিয়া নীরজার অতিশয় আহ্লাদ হইল। প্রমাদকে কেহ ভালবাসে শুনিতেও নীরজার ভাল লাগে। যদি কেহ নীরজার প্রিয়পাত্র