হইতে ইচ্ছা করে তাহা হইলে প্রমোদের প্রশংসা করাই তাহার অভীষ্ট সিদ্ধির একটি সহজ ও অকাট্য উপায়।
নীরজা কনকের কথায় আহ্লাদে হাসিয়া বলিল—“আচ্ছা ভাই, সত্যি তুই তোর দাদাকে খুব ভালবাসিস? তোর দাদাও তোকে খুব ভালবাসেন, আর দুঃখ করতে হবে না?”
ক। তোমার আর আমাকে প্রবোধ দিতে হবে না।
নী। আচ্ছা, তা দিচ্ছিনে কিন্তু বল্ দেখি, দাদাকে সত্যিই খুব ভালবাসিস?
ক। কেন? তাতে তোর রাগ হয় নাকি? সেজন্য যেন আবার দাদার উপর অভিমান করে বসিনে। হ্যাঁ, খুব ভালবাসি, তোর চেয়েও ভাল বাসি।
এই কথায় আহ্লাদে ঢলঢল ভাবে নীরজা বলিল—“তোর দাদাটি যে মিষ্টি তা আর বাস্বিনে। কিন্তু ভাই, দেখিস আমাকে ফাঁকি দিস্নে?”
ক। নে ভাই, তোর ঐ এক পচা, পুরাণ, জঘন্য ঠাট্টা রেখে দে, আর বুঝি ঠাট্টা জানিস্নে?
নী। আমি ঐ ঠাট্টাটি নতুন যে ভাই শিখেছি, তা তোর আজ এখন মন ভাল নেই, এখন যে কি রকম ঠাট্টা তোর ভাল লাগবে, তাতো জানিনে। তোর দাদার মত করে ঠাট্টা করব?
বলিয়া নীরজা কনকের দিকে মুখ ফিরাইয়া তাহার চিবুক ধরিয়া গাহিল—
আয়লো, সরলে, প্রাণের প্রতিমা,
আয়লো, হৃদয়ে রাখি,
কতদিন হতে রয়েছি আশায়,
কি বলিব বল সখি?