পত্রখানি আজই প্রমোদ পাইয়াছেন জানিয়া হিরণ নিশ্চিন্ত হইলেন। কিন্তু পত্র খানি কাহার হস্তগত হইল, তাহা বলা বাহুল্য। যামিনী মিত্রালয়ে বেশ পরিবর্তন করিয়া ভৃত্য সাজিয়া এই চিঠির জন্য প্রমোদের বাটীর কাছে পথে অপেক্ষা করিতেছিলেন।
ষট্ত্রিংশ পরিচ্ছেদ
পরিত্যক্তা
প্রমোদ আর কনককে ডাকেন না,—তাহার কাছে আসেন না, সে নিকটে আসিলে কথা পর্য্যন্ত কহেন না। স্বামী কনকের প্রতি অসন্তুষ্ট, নীরজাও আর তাহার দিকে ফিরিয়া চাহে না। অমন ভগিনীগতপ্রাণ, দেবদুর্ল্লভ ভ্রাতার যে অবাধ্য, এমন ভ্রাতার শত্রুকে যে মিত্র করিতে চায় তাহার সহিত আবার ভাব রাখিতে আছে! তাই নীরজাও আর কনকের কাছে বসে না, তাহার সহিত কথা কহে না, দেখা হইলে মুখ ভার করিয়া চলিয়া যায়, কনক কথা কহিতে গেলে মুখ ফিরাইয়া অর্দ্ধ উত্তর দিয়া কাজের ভান করিয়া সরিয়া পড়ে। এত বড় বাড়ীটা কনকের পক্ষে যেন শ্মশানপুরী। এখানে আপনার বলিয়া দুট স্নেহের কথা বলিতেও তাহার কেহ নাই। এমন কি দাসদাসীরাও তাহার পক্ষ লইয়া একটা কথা কহিতে সাহস করে না। বামা তাহার সেই যে দরদের দাসীটি, অল্প দিন হইল তাহারও মৃত্যু হইয়াছে। কনক এই অন্ধকার রাজ্যে এখন নিতান্ত অসহায় নিতান্ত একাকী।
একদিন নীরজার মুখ খানি শুষ্ক বিষণ্ন দেখিয়া কনক সাহসে ভর