হি। যামিনী অনেক লোকের মাথা খেয়েছে। বাইরে থেকে তাকে চেনা বড় সহজ নয়।
স। কিন্তু তার স্বভাব মন্দ হলেও এ কার্য্যে আমার তাকে দোষী মনে হয় না। বরঞ্চ প্রমাণ সমস্ত বিপরীত। যামিনীর কথার ভাবে মনে হয় প্রমোদই এর মধ্যে আছে।
হি। যামিনী ঐ যে অস্পষ্ট ভাবে প্রমোদের ঘাড়ে দোষ ফেলতে চাচ্ছে, তাতে তাকেই আমার বেশী সন্দেহ হয়। যা হক, যামিনীর সঙ্গে একবার কথা না কয়ে আমি নিশ্চয় ক’রে কিছু বলতে পারিনে। হয় তো বাস্তবিকই যামিনী এ কাজ করে নি, আমিই অযথা সন্দেহ করছি।
তবে সাক্ষাৎ-ই হ’ক না কেন? যদি বাস্তবিকই যামিনী ঐরূপ ষড়যন্ত্রকারী হয় তো আমি রক্ষা রাখব না।
যামিনীকে সঙ্গে লইয়া পরদিন সন্ন্যাসী হিরণের বাড়ীতে আসিলেন; যামিনীর সহিত কথাবার্ত্তা কহিয়া হিরণের সন্দেহ আরও বৃদ্ধি হইল। হিরণকুমার যামিনীকে বলিলেন—
“আপনি বলছেন কানপুরে সন্ন্যাসীমহাশয়কে আপনি পত্র লিখেছেন। সমস্ত চিঠি মারা গেল, একখানিও সেখানে পৌঁছল না এ কি সম্ভব?
যামিনী বলিলেন “আমার কথায় অবিশ্বাস করতে পারেন, কিন্তু আমি মিথ্যা বলছি না। আপনাকে বলতে কি, যে দিন মিথ্যা কথা বলব সেদিন এ জিব কেটে ফেলব। স্বীকার করি আমি মানুষ নানা দোষে দোষী—কিন্তু আমার কোন শত্রুও আমাকে মিথ্যা কহার দোষে দোষী করতে পারবে না।”
হি। কেবল আপনার কথায় বিশ্বাস করতে বলা ছাড়া এবিষয়ে আপনার বলবার তবে আর কিছুই নেই। আপনি সেই রাত্রেই