পাতা:ছুটির পড়া - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছুটির পড়া לכי কমলাদেবী মাথা নাড়িয়া বলিলেন, “সে কখনোই হইবে না । দেখিব আজ কেমন করিয়া যান ।” রাজধর বলিলেন, “ঠাকুরানী, এক কাজ করো, ধনুক-বাণগুলি লুকাইয়ারিাখে।” কমলাদেবী কহিলেন, “কোথায় লুকাইব ।” রাজধর। আমার কাছে দাও, আমি লুকাইয়া রাখিব । কমলাদেবী হাসিয়া কহিলেন, “মন্দ কথা নয়। সে বড়ো রঙ্গ হইবে।” কিন্তু মনে মনে বলিলেন, “তোমার একটা কী মতলব আছে। তুমি যে কেবল আমার উপকার করিতে আসিয়াছ তাহ বোধ হয় না।’ “এসো, অস্ত্রশালায় এসো” বলিয়া কমলাদেবী রাজধরকে সঙ্গে করিয়া লইয়া গেলেন । চাবি লইয়া ইন্দ্রকুমারের অস্ত্রশালার দ্বার খুলিয়া দিলেন। রাজধর যেমন ভিতরে প্রবেশ করিলেন অমনি কমলাদেবী দ্বারে তালা লাগাইয়া দিলেন । রাজধর ঘরের মধ্যে বদ্ধ হইয়া রহিলেন । কমলাদেবী বাহির হইতে হাসিয়া বলিলেন, “ঠাকুরপো, আমি তবে আজ আসি।” বলিয়া চলিয়া গেলেন। এ দিকে সন্ধ্যার সময় ইন্দ্রকুমার অন্তঃপুরে আসিয়া অস্ত্রশালার চাবি কোথাও খুঁজিয়া পাইতেছেন না। কমলাদেবী হাসিতে হাসিতে বলিলেন, “হাগা, আমাকে খুঁজিতেছ বুঝি, আমি তে৷ হারাই নাই!” শিকারের সময় বহিয়া যায় দেখিয়া ইন্দ্রকুমার দ্বিগুণ ব্যস্ত হইয়া খোজ করিতে লাগিলেন । কমলাদেবী তাহাকে বাধা দিয়া আবার তাহার মুখের কাছে গিয়া দাড়াইলেন— হাসিতে হাসিতে বলিলেন, “হাগা, দেখিতে কি পাও না। চোখের সম্মুখে, তবু ঘরময় বেড়াইতেছ।” ইন্দ্রকুমার কিঞ্চিৎ কাতরস্বরে কহিলেন, “দেবী, এখন বাধা দিয়ে না— আমার একটা বড়ো আবশ্বকের জিনিস হারাইয়াছে।” কমলাদেবী কহিলেন, “আমি জানি তোমার কী হারাইয়াছে,