পাতা:ছুটির পড়া - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ψίy' ছুটির পড়া ছবি-আঁকা শেখ ফুরাইলে পর আরো বেশি করিয়া শিখিবার জন্য ডানেকর পায়ে হঁটিয়া দেশ-বিদেশে ভ্রমণ করেন। এমনি করিয়া কুড়ি-পঁচিশ বৎসর কাটিয়া গেল । এখন এই ডানেকরের নাম যুরোপে সকল জায়গায় বিখ্যাত । ডানেকরের মতো পাথরের মূর্তি গড়িতে কয়জন লোক পারে। যে রাজার স্কুলে তিনি পড়িবার অনুমতি পাইয়াছিলেন র্তাহার নাম আজ বড়ো কাহারো মনেও পড়ে না কিন্তু সেই রাজার একজন সহিসের ছেলের নাম যুরোপের দেশে দেশে রাষ্ট্র হইতেছে । পাঠশালা হরিশপুরের বোসেদের বাড়ির চণ্ডীমণ্ডপে পাঠশালা বসিয়াছে। সকালবেলা, এখনো সূর্য উঠে নাই। পাততাড়ি-কাখে ছেলের দল প্রভাতের মৃদু শীতল বায়ু সেবন করিতে করিতে ক্রমে আসিয়া জুটিতেছে। বঁ হাতে দোয়াত ঝুলিতেছে আর ডাইন হাতের তো অবসরই নাই। তিনি চালাকদাস ঘটকচূড়ামণির মতো দণ্ডে দণ্ডে মুড়ি-মুড়কি-ভরা কোচড় আর আহলাদ-ভরা মুখের মধ্যে আনাগোনা করিতেছিলেন । দুই-একটা কাক ফলারে-বামুনের মতো প্রভাতের কোলাহল-কচকচি ছাড়িয়া ছেলেদের সঙ্গ লইল । পল্লীগ্রামের মানুষ তেমন সেয়ানা নয় । কিন্তু সে গুণের জন্য পাড়াগায়ে কাকদের স্বখ্যাতি কেহ করে না। শহুরে মানুষগুলোর মধ্যেও তেমন প্রাকৃটিক্যাল জীব তো কাউকে দেখি নে । প্রমাণ হাতে হাতে । মাথার উপর কা কা শব্দ শুনিয়া যাই উধেব ছেলেরা চাহিতেছে, অমনি কোচড়ের জলপান কিছু কিছু করিয়া পড়িয়া যাইতেছে । অতএব, কাক মহাশয়ের কলকৌশল নিতান্ত নিস্ফল হয় নাই । গুরুমহাশয় রামধন ভট্টাচার্য একটা ছেড়া বড়ো মাতুর পাতিয়া