পাতা:ছুটির পড়া - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অচলগড়ের রাজা মাড়োয়ারের রাজপুত রাজা যশোবন্ত দিল্লীর বাদশা আরঞ্জীবের একজন সেনাপতি ছিলেন । র্তাহার অধীনে নহর খা নামক একজন হিন্দু রাজপুত বীর ছিলেন । নহর র্থ বলিয়া তাহাকে সকলে ডাকিত বটে কিন্তু র্তাহার আসল নাম ছিল মুকুন্দ দাস । এক সময়ে তিনি বাদশাহকে অমান্ত করাতে বাদশাহ তাহার উপর চটিয়া যান । বাদশা হুকুম দিলেন, “কোনো প্রকার অস্ত্র না লইয়া মুকুন্দকে একটা বাঘের খাচার মধ্যে গিয়া বাঘের সঙ্গে লড়াই করিতে হইবে।” মুকুন্দ বলিলেন, “আচ্ছা, তাহাই হইবে।” নিৰ্ভয়ে খাচার মধ্যে প্রবেশ করিয়া তিনি বাঘকে ডাকিয়া বলিলেন, “ওহে, তুমি তো মিঞা সাহেবের বাঘ, একবার যশোবস্তের বাঘের কাছে এসো দেখি ” এই বলিয়। চোখ রাঙাইয়া তিনি বাঘের দিকে চাহিলেন । হঠাৎ কী কারণে বাঘের এমনই ভয় হইল যে, সে মুখ ফিরাইয়া লেজ গুটাইয়া সুড়মুড় করিয়া কোণে চলিয়া গেল। রাজপুত বীর কহিলেন, “যে শত্রু ভয়ে পালায় তাহাকে তো আমরা মারিতে পারি না। তাহা আমাদের ধর্মবিরুদ্ধ ” এই আশ্চর্য ঘটনা দেখিয়া বাদশা তাহাকে পুরস্কার দিয়া ছাড়িয়া দিলেন। বাঘের অত্যন্ত ভয়ানক জানোয়ার বটে কিন্তু এক-এক সময়ে তাহারা হঠাৎ অত্যন্ত সামান্ত কারণে কেমন ভয় পায়। একটা গল্প বোধ করি তোমরা সকলে শুনিয়া থাকিবে— একদল ইংরেজ সুন্দরবনে শিকার করিতে গিয়াছিলেন । যখন আহারের সময় হইল, বনের মধ্যে আসন পাতিয়া সকলে আহারে বসিয়া গেলেন । এমন সময়ে জঙ্গলের ভিতর হইতে একটা বাঘ লাফ দিয়া তাহাদের কাছে আসিয়া পড়িল । বাঘ দেখিয়া একটি মেমসাহেব তাড়াতাড়ি ছাতা খুলিয়া তাহার মুখের সামনে ধরিলেন। হঠাৎ অদ্ভূত একটা ছাত৷