বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ছেলে ভুল - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩০
দারােগার দপ্তর, ৭৯ম সংখ্যা।

 এই ঘটনার প্রায় একমাস পরে একখানি নোটের অনুসন্ধান করিবার নিমিত্ত আমাকে রাজগঞ্জে গমন করিতে হয়। যে মোকদ্দমা সম্বন্ধে আমি নোটের অনুসন্ধান করিতে গিয়াছিলাম, সেই মোকদ্দমার সংক্ষিপ্ত বিবরণ এই স্থানে প্রদান করা আমি তত আবশ্যক মনে করি না। কারণ, এরূপ মোকদ্দমা সম্বন্ধে একটী ঘটনা ডিটেক্‌টিভ পুলিস দ্বিতীয় কাণ্ড পুস্তকে আমি প্রকাশ করি, ইহাও ঠিক সেইরূপ ঘটনা। সেইরূপ উপায়ে জুয়াচোরগণ জুয়াচুরি করিয়া কুমারটুলির জনৈক দোকানদারের নিকট হইতে একখানি পাঁচশত টাকার নোট গ্রহণ করে; কিন্তু সেই দিবস করেন্‌সি আফিস খোলা না থাকায়, তাহারা সেই নোট করেন্‌সি আফিসে বদলাইয়া লইবার অবকাশ পায় নাই। পরদিবস প্রাতঃকালেই প্রতারিত ব্যক্তি জানিতে পারে যে, সে জুয়াচোরগণ কর্ত্তৃক প্রতারিত হইয়াছে। সুতরাং প্রথমেই সে করেন্‌সি আফিসে গিয়া সেই নোটের নম্বর প্রদান করে, এবং সেই স্থানে এইরূপ লিখাইয়া আইসে যে, তাহার গৃহ হইতে একখানি পাঁচশত টাকার নোট চুরি গিয়াছে।

 এদিকে জুয়াচোরগণ যখন জানিতে পারে যে, করেন্‌সি অফিসে সেই নোট ভাঙ্গাইতে গেলে তাহারা ধৃত হইবে, তখন তাহারা করেন্‌সি আফিসে নোট ভাঙ্গাইবার আশা পরিত্যাগ করিয়া অপর আর এক উপায় অবলম্বন করে। শালিখার কোন ধান্যের আড়তে গমন করিয়া তাহারা পাঁচশত টাকা মূল্যের ধান্য খরিদ করে। তাহার মূল্যস্বরূপ উহারা সেই পাঁচশত টাকার নোট প্রদান করে। ধান্যের মহাজন সেই নোট অপরকে প্রদান করেন, সে পুনরায় উহা আর এক ব্যক্তিকে প্রদান করেন। এইরূপে ক্রমে সেই নোট বেঙ্গল ব্যাঙ্কে আসিয়া উপস্থিত হয়। বেঙ্গল ব্যাঙ্ক হইতে সেই