পাতা:ছোটদের অপরাজিত - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এই পথের কথা সে জীবনে কোনদিন ভোলে নাই-এই একটি বৎসর ধরিয়া কি অপরূপ আনন্দই পাইয়াছিল— প্ৰতিদিন সকালেবিকেলে এই পথ হাঁটিবার সময়টাতে ।--নিশ্চিন্দিপুর ছাড়িয়া অবধি ४ाऊ आनन्ी आांद्र श्शू नांशें । ক্রোশ দুই পথ। দুধারে বট, তুতের ছায়া, ঝোপঝাপ, মাঠ, মাঝে মাঝে অনেকখানি ফাকা আকাশ । স্কুলে বসিয়া অপুর মনে হইত। সে যেন একা কত দূর বিদেশে আসিয়াছে, মন চঞ্চল হইয়া উঠিত—ছুটির পরে নির্জন পথে বাহির হইয়া পড়িত । বৈকালের ছায়ায় ঢাঙা তাল খেজুর গাছগুলো যেন দিগন্তের আকাশ ছুইতে চাহিতেছে-পিড়িং পিড়িং পাখির ডাকে-হু-হু মাঠের হাওয়ায় পাকা ফসলের গন্ধ আনিতেছে-সর্বত্র একটা মুক্তি, একটা আনন্দের বার্তা।-- কিন্তু সর্বাপেক্ষা সে আনন্দ পাইত পথ-চলতি লোকজনের সঙ্গে কথা কহিয়া। কতধরণের লোকের সঙ্গে পথে দেখা হইত—কত দূরগ্রামেব লোক পথ দিয়া হঁটিত, কত দেশের লোক কত দেশে যাইত । অপু সবেমাত্ৰ এক পথে বাহির হইয়াছে, বাহিরের পুথিবীটার সহিত নতুন ভাবে পরিচয় হইতেছে, পথে ঘাটে সকলের সঙ্গে আলাপ করিয়া তাহাদের কথা জানিতে তাহার। প্ৰবল আগ্ৰহ । পথ চলিবার সময়টা এইজন্য বড়ো ভাল লাগে, সাগ্রহে সে ইহার প্রতীক্ষা করে, স্কুলের ছুটির পর পথে নামিয়াই ভাবে-এইবার গল্প শুনবো। পরে ক্ষিপ্ৰপদে অ্যাগাইয়া আসিয়া কোনো অপরিচিত লোকের নাগাল ধরিয়া ফেলে। প্রায়ই চাষালোক, হাতে হুকোকস্কে। অপু জিজ্ঞাসা করে-কোথায় যাচ্ছে, হঁ্যা কাক ? চলে আমি মনসাপোতা পৰ্যন্ত তোমার সঙ্গে যাবো । মামজোয়ান গিাইছিলে-তোমাদের বাড়ি বুঝি ? না ? শিকড়ে ? নাম শুনেচি, কোনদিকে জানি নে। কি খেয়ে সকালে বেরিয়েচ, হঁ্যা কাক ?• • • তারপর সে নানা খুটিনাটি কথা জিজ্ঞেস করে -কেমন সে গ্ৰাম, ক’বার লোকের বাস, কোন নদীর ধারে ? ক’জন লোক তাদের বাড়ি, কত ছেলে-মেয়ে তারা কি করে ?•••• Σ 8