পাতা:ছোটদের অপরাজিত - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছিটা দিয়া গ্রাসের পর গ্রাস তুলিয়া কি করিয়াই নিমেষের মধ্যে সাবাড়ি করিয়া ফেলিল ! -- মাস কয়েক কাটিয়া গেল। সকালবেলা স্কুলের ভাত চাহিতে গিয়া অপু দেখিল রান্না চড়ানো হয় নাই । সর্বজয়া বলিল, আজ যে কুলুইচণ্ডী পুজো—আজি স্কুলে যাবি কি ক’রে ?-ওরা বলে গিয়েচে ওদের পূজোটা সেরে দেওয়ার জন্যে-পূজোবারে কি আর স্কুলে যেতে পারবি ? বড দেরী হয়ে যাবে। —হঁ্যা, তাই বৈ কি ? আমি পূজো করতে গিয়ে স্কুল কামাই করি আর কি ? আমি ওসব পারবাে না, পূজোটুজো আমি আর করব কি ক’রে, রোজই তো পূজো লেগে থাকবে। আর আমি বুঝি রোজ রোজ-তুমি ভাত নিয়ে এস, আমি ওসব শুনছিনে— । ! —লক্ষ্মী বাবা আমার। আচ্ছা, আজকের দিনটা পূজোটা সেরে নে। ওরা বলে গিয়েচে ওপাড়াসুদ্ধ পূজো হবে। চাল পাওয়া যাবে এক ধামার কম নয়, মানিক আমার কথা শোনো, শুনতে হয় । অপু কোন মতেই কথা শুনিল না। অবশেষে না খাইয়াই স্কুলে চলিয়া গেল । সর্বজয় ভাবে নাই যে, ছেলে সত্যসত্যই তাহার কথা ঠেলিয়া না খাইয়া স্কুলে চলিয়া যাইবে। যখন সত্যই বুঝিতে পারিল তখন তাহার চোখের জল বাধা মানিল না । ইহা সে আশা করে नशे । অপু স্কুলে পৌছিতেই হেডমাস্টার ফণীবাবু তাহাকে নিজের ঘরে ডাক দিলেন। ফণীবাবুর ঘরেই স্থানীয় ব্ৰাঞ্চ পোস্ট-অফিস, ফণীবাবুই পোস্টমাস্টার। তিনি তখন ডাকঘরের কাজ করিতেছিলেন। বলিলেন, এসো অপূর্ব, তোমার নম্বর দেখবে ? আজি ইন্সপেক্টর অফিস থেকে পাঠিয়ে দিয়েচে-বোর্ডের এগ জামিনে তুমি জেলায় প্ৰথম হয়েচ-পাঁচ টাকার একটা স্কলারশিপ পাবে। যদি আরো পড়ে। তবে । পড়বে তো ? এই সময় তৃতীয় পণ্ডিত মহাশয় ঘরে ঢুকিলেন। ফণীবাবু বলিলেন Σ δ