পাতা:ছোটদের অপরাজিত - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সে হাসিয়া ঘাড় নাডিল । সমীর তাহার সব খবর বাখে, বলিল, আমি বরাবর দেখে আসছি অপূর্ব, হাতের পয়সা ভারী বে-আন্দাজি খরচ করিস তুই -বুঝে সুজে চললে এরকম হয় না। --আট আনা চাদা কে দিতে বলেছে ? অপু হাসিমুখে বলিল, আচ্ছ। আচ্ছা, যা তোকে আর শেখাতে হবে না।--ভারী আমার গুরুঠাকুর সমীর বলিল, না হাসি নয়, সত্যি কথা বলছি । আর এই ননী, তুলো, রাসবেহারী-ওদের ও রকম বাজারে নিয়ে গিয়ে খাবার খাওয়াস কেন ? অপু তাচ্ছিল্যের ভঙ্গিতে বলিল, যাঃ বকিস নে—‘ওরা ধরে খাওয়াবার জন্যে, তা করবো কি ? সমীর রাগ করিয়া বলিল, খাওয়াতে বললেই আমনি খাওয়াতে তবে ? ওরাও দুষ্ট্রর ধাড়ি, তোকে পেয়েছে ওই রকম তাই। অন্য কারুর কাছে তো কই ঘেঁষে না । আড়ালে তোকে বোকা বলে তা জানিস ? কোনো কোনোদিন বৈকালে সে একখানা বই হাতে লইয়া তাহার প্রিয় গাছপালা-ঘেরা সেই কোণটিতে বসিতে যায়। মনে পড়ে এতক্ষণ সেখানে ছায়া পড়িয়া গিয়াছে, চীনে জবা গাছে কচি কচি পাতা ধরিয়াছে। যাইবার সময় ভাবে, দেখি আর ক’টা লিজেঞ্জস আছে ? --পরে বোতল হইতে গোটাকতক বাহির করিয়া মুখে পুরিয়া দেয়। ভাবে আসছে মাসের টাকা পেলে ঐ যে আনারসের একরকম অাছে, তাই কিনে আনবো এক শিশি-কি চমৎকার এগুলো খেতে । এ ধরণের ফলের আস্বাদযুক্ত লজেঞ্জুস সে আর কখনও খায় নাই । কম্পাউণ্ডে নামিয়া লাইব্রেরীর কোণটা দিয়া যাইতে যাইতে সে হঠাৎ অবাক হইয়া দাড়াইয়া গেল। একজন বেঁটে-মত লোক ইদারার কাছে দাড়াইয়া স্কুলের কেরাণী ও বোর্ডিং-এর বাজার-সরকার গোপীনাথ দত্তের সঙ্গে আলাপ করিতেছে। Oe