পাতা:ছোটদের অপরাজিত - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কলিকাতার কলেজে অপু ठिन বাড়িতে অপু মায়ের সঙ্গে পরামর্শ করিল। কলিকাতায় যদি পড়িতে যায় স্কলারশিপ না পাইলে কি কোন সুবিধা হইবে ? সর্বজয়া কখনও জীবনে কলিকাতা দেখে নাই-সে। কিছু জানে না । পড়া তো অনেক হইয়াছে আর পড়ার দরকার কি ?--অপুর মনে কলেজে পড়িবার ইচ্ছা খুব প্রবল। কলেজে পড়িলে মানুষ বিদ্যার জাহাজ হয় । সবাই বলিবে কলেজের ছেলে । মাকে বলিল-না-ই যদি স্কলারশিপ পাই, তাই বা কি ? একরকম ক’রে হয়ে যাবে-রমাপতিদা বলে, কত গরীবের ছেলে কলকাতায় পড়চে, গিয়ে একটু চেষ্টা করলেই নাকি সুবিধা হয়ে যাবে, ও আমি ক’রে নেবো মা কলিকাতায় যাইবার পূর্বদিন রাত্রে আগ্রহে উত্তেজনায় তাহার ঘুম হইল না। মাথার মধ্যে যেন কেমন করে, বুকের মধ্যেও । গলায় যেন কি আটকাইয়া গিয়াছে। সত্য সত্য সে কাল এমন সময় কলিকাতায় বসিয়া আছে!• • • কলিকাতায় !• • •কলিকাতা সম্বন্ধে কত গল্প, কত কি সে শুনিয়াছে। অতবড় শহর আর নাই। কত কি অদ্ভুত জিনিস দেখিবার আছে, বড় বড় লাইব্রেরী আছে সে শুনিয়াছে, বই চাহিলেই সেখানে বসিয়া পড়িতে দেয় । বিছানায় শুইয়া সারারাত্ৰি ছট্‌ফট্‌ করিতে লাগিল । বাড়ির পিছনের তেঁতুল গাছের ডালপালা অন্ধকারকে আরও ঘন করিয়াছে, Vd