পাতা:ছোটদের অপরাজিত - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সবদিকেই খরচ অত্যন্ত বেশী । মেট্রোপলিটান কলেজ গলির ভিতর, বিশেষতঃ পুরানো ধরনের বলিয়া সেখানেও ভর্তি হইতে ইচ্ছা হইল না ! মিশনারীদের কলেজ হইতে একদল ছেলে বাহির হইয়া সিটি কলেজে ভর্তি হইতে চলিয়াছিল, তাহদের দলে মিশিয়া গিয়া কেরানীর নিকট হইতে কাগজ চাহিয়া নাম লিখিয়া ফেলিল। কিন্তু শেষ পৰ্যন্ত বাড়িটার গড়ন ও আকৃতি তাহার কাছে এত খারাপ ঠেকিল যে, কাগজখানি ছিাড়িয়া ফেলিয়া সে বাহিরে আসিয়া হাপ ছাড়িয়া বঁচিল । অবশেষে রিপন কলেজের বাড়ি তাহার কাছে বেশ ভাল ও উচু মনে হইল। ভর্তি হইয়া সে আর একটি ছেলের সঙ্গে ক্লাস-রুমগুলি দেখিতে গেল। ক্লাসে ইলেকট্রিক পাখা । কি করিয়া খুলিতে হয় ? তাহার সঙ্গী দেখাইয়া দিল । সে খুশীর সহিত তাহার নীচে খানিকক্ষণ বসিয়া রহিল, এত হাতের কাছে ইলেকট্রিক পাখা পাইয়া বাব বাব পাখা খুলিয়া বন্ধ করিয়া দেখিতে ललि ! মাসেব শেষে অখিলবাবু অপুর জন্য একটা ছেলে পড়ানো ঠিক করিয়া দিলেন, দুইবেল একটা ছোট ছেলে ও একটি মেয়েকে পড়াইতে হইবে মাসে পনেরো টাকা । অখিলবাবুর মেসে পরের বিছানায় শুইয়া থাকা তাহার পছন্দ হয় না । কিন্তু কলেজ হইতে ফিরিয়া পথে কয়েকটি মেসে জিজ্ঞাসা করিয়া জানিল, পনেরো টাকা মাত্ৰ আয়ে কোনো মেসে থাকা চলে না । তাহার ক্লাসের কয়েকটি ছেলে মিলিয়া একখানা ঘর ভাড়া করিয়া থাকিত, নিজেরাই রাধিয়া খাইত, অপুকে তাহারা লইতে द्राख्छौ ठूछेल । যে তিনটি ছেলে একসঙ্গে ঘর ভাড়া করিয়া থাকে, তাহদের সকলেরই বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলায়। ইহাদের মধ্যে সুরেশ্বরের আয় কিছু বেশী, এম-এ ক্লাসের ছাত্র, চল্লিশ টাকার টিউশনি আছে। জানকী যেন কোথায় ছেলে পড়াইয়া কুড়ি টাকা পায় । নির্মলের আয় আরও কম। সকলের আয় একত্র করিয়া যে মাসে যাহা Vo