পাতা:ছোটদের অপরাজিত - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হাতের মুঠায়। ছোট্ট ছেলেবেলায় অপু-কাচের পুতুলের মত রূপ, • • প্ৰথম স্পষ্ট কথা শিখিল, কি জানি কি করিয়া শিখিল ‘ভিজে”। একদিন অপুকে কদমা হাতে বসাইয়া রাখিয়াছিল। -cकभन 6थलि ७ (शांका ? অপু দন্তহীন মুখে কদমা চিবাইতে চিবাইতে ফুলের মত মুখটি তুলিয়া মায়ের দিকে চাহিয়া বলিল,-“ভিজে”। হি-হি-ভাবিলে এখনও সর্বজয়ার হাসি পায় । সেদিন দুপুর হইতেই বুকে মাঝে মাঝে ফিক-ধরা বেদন হইতে লাগিল। তেলি-বেী আসিয়া তেল গরম করিয়া দিয়া গেল। দু’-তিনবার দেখিয়াও গেল । সন্ধ্যার পর কেহ কোথাও নাই। এক নির্জন বাড়ি । জ্বরও আসিল । রাত্রে খুব পরিষ্কার আকাশে ত্ৰয়োদশীর প্রকাণ্ড বড় চাঁদ উঠিয়াছে। জীবনে এই প্ৰথম সর্বজয়ার একা থাকিতে ভয় ভয় করিতে লাগিল। খানিক রাত্রে একবার যেন মনে হইল, সে জলের ভলায় পড়িয়া আছে, নাকে মুখে জল ঢুকিয়া নিশ্বাস একেবারে বন্ধ হইয়া আসিতেছে, - “একেবারে বন্ধ { সে ভয়ে এক-গা ঘামিয়া খড়মড় করিয়া বিছানার উপর উঠিয়া বসিল । সে কি মরিয়া যাইতেছে ? এই কি মৃত্যু ?--সে এখন কাহাকে ডাকে ? জীবনে সর্বপ্রথম এই তাহার জীবনের ভয় হইল-ইহার আগে কখনও তো এমন হয় নাই! পরে নিজের ভয় দেখিয়া তাহার। আর একদফা ভয় হইল। ভয় কিসের ? না-না-মৃত্যু, সে এরকম নয়। ও किछू ना । কত চুরি, কত পাপ-চুরিই যে কত করিয়াছে তাহার কি ঠিক আছে ? ছেলেমেয়েকে খাওয়াইতে অমুকের গাছের কলার কঁাদিটা, অমুকের গাছের শসাটা লুকাইয়া রাখিত তক্তপোশের তলায়।--ভুবন মুখুয্যেদের বাড়ি হইতে একবার দশ পলা তেল ধার করিয়া আনিয়া ভালমানুষ রাণুর মার কাছে পাচ পল শোধ দিয়া আসিয়াছিল, মিথ্যা করিয়া বলিয়াছিল-পাচ পলাই তো নিয়ে গিছলাম ন’দি-